দেশে প্রথমবারের মতো বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মধুপুরের শালবনের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবনের ১৮ হাজার ৫৬৫ একর বনভূমির সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ কাজ চালানো হচ্ছে।

এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একটি বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হলো। ১৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত করে শাল ও অন্যান্য বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ মৌজা ও ময়মনসিংহের কমলাপুর মৌজার সীমান্ত এলাকা থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। অরণখোলা, বেরিবাইদ, চুনিয়া, গাছাবাড়ি, ইদিলপুরসহ ১৫টি মৌজার বনভূমির সীমানা নির্ধারণ করা হবে।

দীর্ঘদিন ধরে সীমানা নির্ধারণ না থাকায় বনভূমি দখল হয়ে আসছিল। গড়ে উঠেছে বসতি, চাষ হচ্ছে আনারস, কলা ও পেঁপে। নতুনভাবে সীমানা চিহ্নিত হলে বন রক্ষা ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুরের শালবন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এছাড়া, বন অধিদপ্তরের বার্ষিক উচ্ছেদ কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত করে শাল ও অন্যান্য বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে। সামাজিক বনায়নের আওতায় উপযোগী গাছের চারা রোপণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, জারুলসহ বিভিন্ন গাছের চারা সংগ্রহ চলছে। পাশাপাশি সরাসরি শাল বীজ রোপণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

আরএএস/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।