ফেসবুক আলোচনায় জিহাদ


প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

জিহাদ উদ্ধার নিয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার বিকেলে থেকেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। উদ্ধারের পর কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া...

Maskwaith Ahsan
সর্বদলীয় ডিনাইয়াল ঐকমত্য। শুধু সাংবাদিক ও মিডিয়া ছিলো জন্য অন্ততঃ জিয়াদের মৃতদেহটি উদ্ধার হলো। শুধু বিটিভি থাকলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাসি হাসি মুখে বলতো ওখানে কোন শিশু পড়েনি নেহাত গুজব ছিলো। ফুরিয়ে যেতো গল্প। এদিকে শিশু মৃত্যু দলদাসদের জন্য কোন বিষয় নয়; এরাতো নরখাদক; নতুন রেজাকার। ক্ষমতার গুয়ে মাছিরা এসে সাংবাদিকদের গালি দিচ্ছে; আর ক্ষমতা না থাকায় শুকিয়ে মরা গুয়ে মাছিগুলো এখন গাজীপুরের পুরাতন রেজাকার সভা করতে না পেরে কাতরাচ্ছে; এরা প্রচারণা চালিয়েছে; ওখানে কোন শিশু পড়েনি; এ নেহাত ১৪৪ ধারার আলোচনা বন্ধ রাখতে শিশু উদ্ধারের নাটক। পুরো জাতি যখন রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনার অবহেলায় মৃত শিশু নিয়ে বেদনায় লীন; দলীয় চাকরগুলো তখনো ব্যস্ত নিজের ভিক্ষাবৃত্তি টিকিয়ে রাখার হাঙ্গারগেমে। এদের চিন্তাভাবনা ডোমচাঁড়ালের চেয়েও বেশী পাকস্থলী কেন্দ্রিক। গুয়েমাছির হয়তো হৃদয় থাকে না।

Muhammad Khan
জিহাদ মরিয়া প্রমান করিল, সে মরে নাই!!

Imran H Sarker
তাহলে এটা নিশ্চিত হলো শুধু জিয়াদই গর্তে নয়, গর্তে পরেছে পুরো বাংলাদেশ। আর বুদ্ধিহীন লুটেরার দল আমাদের উদ্ধারের পরিবর্তে আরো গভীর তলানিতে ঠেকাতেই পারদর্শী।
এদেশের সাধারন মানুষই পারে জিয়াদের মতো এই দেশকে উদ্ধার করতে।

জ.ই. মামুন
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আপনি আল্লাহর মালকেও হার মানিয়েছেন... এখন আল্লাহর ওয়াস্তে পদত্যাগ করুন আর তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীদের কেউ একজন এই লোকটার বিরুদ্ধে শিশু জিয়াদ হত্যার অভিযোগে একটা খুনের মামলা দায়ের করুন.

Shoib Hosen
এক্সপার্টদের এক্সপেরিমেন্টে মৃত্যু হলো শিশু জিয়াদের।

Ismail Hossain
আজ যদি জিহাদের বাবা-মাকে কোনো টেলিভিশন রাতের টকশোতে আনতে পারে, তাহলে সারা দেশ হুমড়ি খেয়ে পড়বে তাদের কথা শোনার জন্য। সন্তানের মৃত্যুর রাতেই টকশোতে আনার অপরাধে টেলিভিশনকে গালাগালি করতেও ভুলবে না পাবলিক। আজব। তাজ্জব।

Arafat Siddique
আমরা গুষ্ঠি উদ্ধার করে স্ট্যাট্যাস দিয়েছি, কেউ বিশেষজ্ঞ সেজে টিভিতে টকশো কামিয়েছেন কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা টিভি সেটের সামনে বসে থেকেছেন, কেউ সারারাত ধরে ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে থেকেছে - টিভি পর্দায় যদি তাকে একবার দেখা যায়। আবার কেউ (তিনজন) দূর্ঘটনার কথা জেনে সাভার থেকে ছুটে এসেছেন। উদ্ধারের জন্য লোহা দিয়ে একটা খাঁচা বানিয়ে নিয়ে এসেছেন। কর্তৃপক্ষীয় সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে, এই তিনজন সুযোগ পায় তাদের প্রচেষ্টা চালানোর। তাঁদের চেষ্টাতেই শিশু জিয়াদের দেহটি শেষ পর্যন্ত বের করে আনা হয়।

Imtiaz Sony
এটা সাজানো নাটক ছিল না, জিয়াদ পাইপের মধ্যেই ছিল। সব জাইগায় রাজনীতি চলে না ....।

Bratya Raisu
- আর রাষ্ট্র চলিয়া যাইবার পরে জীবিত নাগরিকগণ মৃত শিশু উদ্ধার করিল -
হি হি, আমার ধারণা মৃত বস্তু উদ্ধারের গৌরব নিতে চায় নাই সংশ্লিষ্ট মহল। বীরত্বের বদলে কালিমা কেবা চায়?
কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল যে একটা অকর্মণ্য মহল তা যে রাষ্ট্র হইয়া গেল!
তাতেও অসুবিধা নাই। বহু অকর্মণ্যের দলে এই অকর্মণ্যতা অদৃশ্য হইয়া যাবে দুই দিনের মাথায়।

Sohel Rana
২৩ ঘণ্টা পরে উদ্ধার হল মৃত জিহাদ।
আমি বলব জিহাদ কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জিহাদের বাবা কে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কি দেশরে ভাই ?। যার সন্তান মারা গেছে আবার তাকেই গ্রেপ্তার!
ফায়ার সার্ভিস এবং বুয়েট ২৩ ঘণ্টা কাজ করেও পারে নাই উদ্ধার করতে। সাধারণ মানুষ উদ্ধার করেছে জিহাদ কে। একটা কথা শুনলে খুবই অবাক হবেন। জিহাদের কান্না অনেকে শূনেছে। আমরা ইচ্ছা করলে জিহাদ কে জিবিত উদ্ধার করতে পারতাম।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ এবং স্বরাস্ট মন্ত্রী ( নামটা উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছে না) জানান,পাইপের ভিতর কেও নাই। এইটা ভুয়া খবর।
একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন বাংলাদেশের সব সরকারি প্রতিস্থান গুলা অকর্মা। এরা কোন কাজেরই না। প্রতিবছর হাজার হাজার কোটী টাকা লুট পাট, আর হাজার হাজার কোটী টাকা লস। নিচে কয় একটা অকর্মা কে দিলাম। আপনারা চাইলে কয় একটা আড্ড করতে পারেন।
১. Bangladesh all govt Bank
২. Bangladesh Railway
৩.Bangladesh Airlines
4. BTV
5. Fire SerVice
আরো অনেক..

এই সব সরকারি প্রতিষ্ঠান কে বাংলাদেশের মানুষের কোন দরকার নাই। গত রাতে যে বা যারা পাইপের ভিতরে শিশু বা কোন মানুষ নেই বলে ঘোষণা দিয়েছিল এবং সাংবাদিক ও সাধারন মানুষের সাথে রুক্ষ আচরণ করেছে, এবং সেই সাথে এই নিস্পাপ শিশুটিকে পাইপের ভিতরে রেখে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে তাদের সবাইকে সরাসরি হত্যা মামলার আসামি করে এবং ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে এখনই মামলা করা উচিত ।

Lutfor Rahman Himel
মরণপাইপ। এমন মরণপাইপ আমরা শুধু শাহজাহানপুরেই নয় গোটা শহরেই খুড়ে রেখেছি। ওখানে পরবে জিহাদরা
ছোটলোকের বাচ্চারা। ওদের জন্মের আনন্দ নাই মৃত্যুতে তাই শোকপ্রকাশ অন্যায্য, বেমানান আমাদের শুধু চাই ওয়াসার কোটি টাকার টেন্ডার যত্রতত্র খোড়াখুড়ির টেন্ডার যাতে করে আরও আরও মরণকূপ খুড়তে পারি আমরা সেখানে নাগরিক অাবর্জনা ওই ছোটলোকের বাচ্চাগুলারে এভাবে ফেলে দিয়ে পুরো ঢাকা কোলাহলমুক্ত করতে পারি। বড্ড হাউকাউ করে এই বাচ্চারা, ছোটলোকের বাচ্চারা আমাদের নিজের সন্তানগুলা কেমন শান্ত, ওদের অত্যাচারেইতো বিদেশে রেখে পড়াতে হয় তাদের। ওদের ওগুলোতো বাচ্চা আর আমাদেরগুলাতো সন্তান, দুইয়ে পার্থক্য বিস্তর তাই বাচ্চাগুলার বাঁচামরা নিয়া ভাবাভাবির কিছু নাই ভাবতে হবে সন্তানগুলারে নিয়া...

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।