কম টাকায় লোক পাঠাচ্ছে বোয়েসেল, বাতিলের দাবিতে বায়রার মানববন্ধন

ব্রুনাইসহ অন্যান্য দেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা ও জিটুজি পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কাকরাইলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রুনাইয়ের শ্রমবাজার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্ত বাজারটিতে এককভাবে গত ২ বছর থেকে বোয়েসেল লোক পাঠিয়ে যাচ্ছে। তারা কোটা ফিলাপ করতে পারছে না। গত বছর মাত্র ১৭০ জন লোক পাঠিয়েছে। আমরাও বাজারটিতে লোক পাঠাতে পারছি না। বাজারটি উন্মুক্ত হলে আমরা যারা রিক্রুটিং এজেন্সি আছি, প্রতি বছর ৫০ হাজার লোক পাঠাতে পারবো।
তারা বলেন, বোয়েসেল কম টাকায় নেওয়ার কথা বলে। তলে তলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় লোক পাঠায়। সে খবর আমরা জানি। আমরা অনেক টাকা দিয়ে লাইসেন্স করেছি। এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। অফিসের ভাড়া, কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না।
মানববন্ধনে মক্কা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের প্রোপাইটর রেদোয়ান হোসাইন বলেন, গভমেন্ট টু গভমেন্ট লোক পাঠানো বন্ধ করা দরকার। বোয়েসেল একক সুবিধা নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন দেশে এককভাবে লোক পাঠাচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেট রয়েছে। এতে জড়িত ব্রুনাই হাইকমিশনের কিছু লোক। আমরা চাই সব রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক ব্রুনাই শ্রমবাজার নিয়ে কাজ করুক।
তিনি বলেন, দেশে ৩০০০ লাইসেন্সধারী এজেন্সি আছে। আমরা কেউ পাঠাতে পারছি না। শুধু বোয়েসেল কেন পাঠাচ্ছে?
এসময় তারা একটি স্মারকলিপি পাঠ করে বলেন, বোয়েসেলের অদক্ষতা ও দায়সারা তৎপরতায় এক বছরে মাত্র ২০০ শ্রমিক সরবরাহ করে দেশের রেমিট্যান্সে মারাত্মক কুফল ডেকে এনেছে। অথচ আমরাই রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা ব্রুনাইয়ের শ্রমবাজার সৃষ্টি করেছি। বর্তমানে সব শ্রমবাজার সিন্ডিকেট ও বোয়েসেল কর্তৃক কুক্ষিগত হওয়ার কারণে আমরা পরিবার পরিজন ও কর্মচারীসহ অভাব অনটনে দিনাতিপাত করছি।
এমতাবস্থায় সিন্ডিকেট ও বোয়েসেল-মুক্ত শ্রমবাজারসহ দেশ ও দশের সার্বিক কল্যাণে ব্রুনাই শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার জন্য পুনরায় জোরালোভাবে অনুরোধ করছি।
আরএএস/এমএইচআর/এএসএম