সিএনজি অটোরিকশাচালক ঐক্য পরিষদ
আরও কয়েকটি রুটে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে

মহানগরের সঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ-গাজীপুর- নরসিংদী-মানিকগঞ্জ জেলায় চলাচলের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশাচালক ঐক্য পরিষদ।
একই সঙ্গে দৈনিক জমা না বাড়ানা, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে নো পার্কিং মামলা দিয়ে চালক হয়রানি বন্ধ করা, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার জন্য আলাদা লেন বা বাইলেন তৈরির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশাচালক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ ও সদস্য সচিব গোলাপ হোসেন সিদ্দিকীর যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের যুগ্ম-সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের সই করা প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে চালক ও শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮, বিধিমালা-২০২৩ এর অজুহাতে ঢাকা মহানগরে সিএনজি চালকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে প্রশাসনিক ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদ জানান।
নেতারা বলেন, দৈনিক ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করেও অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি না। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা নেই। আমরা যা কিছু আয় করি তার সিংহভাগ নিয়ে নেয় মালিক, প্রশাসন ও চাঁদাবাজ-দালালরা।আমরা চালকরা ঋণের জালে জড়িয়ে আছি।
আরও পড়ুন:
- সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মামলা-জরিমানার সিদ্ধান্ত বাতিল
- সিএনজিচালকদের অবরোধে নগরীতে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
জানা যায়, বর্তমানে অটোরিকশার মালিকের জন্য দৈনিক জমা নির্ধারিত আছে ৯০০ টাকা। তবে চালকদের কথা-মালিকরা দিনে দুই বেলায় চালকের কাছে অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা আদায় করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলকারী প্রায় ২৮ হাজার অটোরিকশার জন্য পৃথক নীতিমালা রয়েছে। এসব অটোরিকশাকে কন্ট্রাক ক্যারিজ বা ভাড়ায় চালিত যান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নীতিমালা অনুসারে, সিএনজি ও পেট্রোলচালিত অটোরিকশার ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা নির্ধারিত রয়েছে।
বিআরটিএ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে মামলার আদেশ দেয়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান সিএনজি চালকরা। রোববার সকালেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। চালকদের প্রতিবাদের মুখে মামলার আদেশ স্থগিত করলো বিআরটিএ।
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম