লোটাস কামাল পরিবারের ১০৭ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮৫০ কোটি টাকা লেনদেন

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) পরিবারের ১০৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮৫০ কোটি কোটির অস্বাভাবিক লেনদেন ও ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মামলায় মুস্তফা কামাল, তার স্ত্রী কাশ্মীরি কামাল এবং তাদের কন্যা কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের ১০৭টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা লেনদেন ও ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, মুস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী কাশ্মীরি কামালের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩১ টাকা ও ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা। কন্যা কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের যথাক্রমে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা ও ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
এছাড়া মুস্তফা কামালের ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮ টাকা, কাশ্মীরি কামালের ২০টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ১৩৩ টাকা, কাশফি কামালের ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকা ও নাফিসা কামালের ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার লেনদেনের অভিযোগ এনেছে দুদক।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের আগস্টে মুস্তফা কামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত বছরের ২২ আগস্ট মুস্তফা কামাল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মুস্তফা কামাল আওয়ামী সরকারের অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিসিবির ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতিও ছিলেন। তার ব্যবসায়ী মেয়ে নাফিসা কামাল ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজির (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) মালিক ছিলেন।
এসএম/এমএএইচ/জেআইএম