ম্যাটস শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১৮

চার দফা দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে ১৭ শিক্ষার্থী ও এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- নওগাঁ সরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থী মেহেরাব (১৮), ট্রমা ম্যাটসের শিক্ষার্থী জাহিদুল হাসান কায়েস (২৬), প্রাইম ম্যাটসের এরসাদুল হক (৩০), ট্রমা ম্যাটসের তাহমিনা আক্তার তমা (২০), বরিশাল জম জম ম্যাটসের রাসেল (২২), ট্রমা ম্যাটসের সুমাইয়া খাতুন (২০), ট্রমা ম্যাটসের সাইমা ইসলাম সিনথিয়া (২২), শ্যামলী ম্যাটসের সোহাগ (২২), শ্যামলী ম্যাটসের আমান উল্লাহ (২১), গাজীপুর ম্যাটসের সিহাব আহমেদ (২০), কুষ্টিয়া ম্যাটসের কে এম আরাফাত রেজা (২৪), কুষ্টিয়া ম্যাটসের জাহিদুল হাসান (২১), টাঙ্গাইল সোহরাব উদ্দিন ম্যাটসের নাইম (২২), জম জম ম্যাটসের রায়হান গাজী (২১), শ্যামলী ম্যাটসের আসিবুল (২৩), বাগেরহাট ম্যাটসের সায়েম (১৮), শ্যামলী ম্যাটসের এনামুল (২২) ও ব্রেকিং নিউজের সাংবাদিক আনারুল ইসলাম শিমুল (২৮)।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
মো. শরিফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে লংমার্চ শুরু করেন ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাধা দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির হয়। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা লংমার্চ শুরু করায় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সবাই আহত হন। শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা আজই ম্যাটস বৈষম্যের সুরাহা চাই। রাজপথে এসে আন্দোলন করতে চাই না। আমাদের নিয়ে বৈঠক করতে হবে। সবার সামনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দাবি মানার ঘোষণা দিলেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, সচিবালয়ের সামনে থেকে আহত অবস্থায় ১১ শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে হলেও জানান তিনি।
কাজী আল-আমিন/এএমএ/জিকেএস