প্রেস সচিব
জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে বিশ্বকে ভুল ধারণা দেওয়া হচ্ছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার বাংলাদেশের ন্যারেটিভকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘দ্রোহের গ্রাফিতি’ নামের এক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এই কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে আরও ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ।
এসময় প্রেস সচিব বলেন, তাদের মেসেজগুলো দেখেন, তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে। তাদের মেসেজে ড. ইউনূস হচ্ছে জঙ্গি লিডার, ড. ইউনূসকে ঘিরে কারা আছে জঙ্গি লিডার। এটা কেন করছে জানেন? এটা খুবই ওয়েল কন্সট্রাকটেড ক্যাম্পেইন এবং এর সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়াও জড়িত। তারা মিলিয়ন ডলার খরচ করছে শেখ হাসিনার অলিগার্কগুলো।’
একটা নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাচ্ছে, বিশ্বকে বোঝাতে চাচ্ছে যে তোমরা যেটাকে গণঅভ্যুত্থান বলছো সেটা আসলে গণঅভ্যুত্থান না। এটা খুব বড় রকমের একটা চক্রান্ত।
প্রফেসর ইউনূস পাব্লিক লাইফে আছেন ছয় দশক ধরে। তাকে সবাই চেনেন। অথচ তাকে তারা এভাবে পোট্রে করছে। কারণ নতুন বাংলাদেশের যে ইউনিক ইতিহাস এটাকে তারা উল্টে দিতে চায়। এই কাজ কিন্তু তারা আগে করেছে। পুরো ১৫ বছরে কয়টা লেখক আছে যে ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ নিয়ে লিখেছে, কেউ নেই।
শফিকুল আলম বলেন, আফতাব আহমেদ যে বাসন্তীর ছবি তুললেন তিনি রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন। কেউ এটার ইনভেস্টিগেটও করলো না। ১৯৭৪ সালে রক্ষী বাহিনী দ্বারা যেটা আমরা পড়েছি ৩০ হাজার লোক মারা গেছে। ইউটিউবে গেলে দেখবেন যে ১৯৭৪ সালের যে ডুয়েল কিচেন যেখানে জনগণকে খাবার দেওয়ার জন্য যেটা সেটা আছে, কিন্তু ১৫টা বছর সব হিস্ট্রিকে যে ইরেজ করে নতুন হিস্ট্রি চাপানো, দে আর কোয়াইট গুড অ্যাট ইট।
তার সময়ে শাপলা হত্যাকাণ্ড হয়েছে, মাওলানা সাঈদীর ভার্ডিক্টের পর কি ভয়ানক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, একটা দেশের চিফ জাস্টিসকে গলায় ধরে তার সিকিউরিটি এজেন্সির লোকজন পিটিয়ে পুলিশে পাঠিয়ে দিয়েছে, আবার তারা বলতেন আমাদের জুডিশিয়ারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। একজন চিফ জাস্টিসের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে কোন জাস্টিস ইন্ডিপেন্ডেন্ট আছে?
বিএনপির একজন নেতার জামিন হবে এমন সময় জাস্টিসের রুমে সিকিউরিটি এজেন্সির লোক পাঠিয়ে দেওয়া হতো। শুধু তাই নয়, তার সময়ে এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিং হয়েছে তিন হাজারের বেশি। এই জিনিসটা কেউ বলে না, এটা কিন্তু ভয়াবহ। ৬০-৭০ লাখ অপজিশন অ্যাক্টিভিস্টদের লাইফ হেল করে দেওয়া হয়েছে।
ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে এই গ্রাফিতির বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
এসআরএস/এমআইএইচএস