‘এলবার্ট পি কষ্টার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া’
‘বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন’র স্বঘোষিত সভাপতি এলবার্ট পি কষ্টার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ‘বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন’র প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া।
গত ২৩ মে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য দিয়েছিলেন এলবার্ট পি কষ্টা।
‘বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন’র দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপি-জামায়াতের মদতপুষ্ট এলবাৰ্ট পি কষ্টা বিগত সময়েও সমাজের নানা ধরনের বিভক্তি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। এখনো তিনি তা অব্যাহত রেখেছেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের কাউন্সিল অধিবেশনে কোনো শাখা সংগঠনের কাউন্সিলর হতে না পেরে তিনি স্বঘোষিত খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন তৈরি করেছিলেন। সমাজের কোনো কাজ তিনি করেন না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলই তার একমাত্র লক্ষ্য।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, কে আমাদের পক্ষে কাজ করেছেন তা জানা আছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তারা এদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী এই সম্প্রদায় দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অতীতে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
এমএএইচ/