বেকার নিবন্ধনধারী শিক্ষকসমাজের আর্তি শুনুন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। আপনাকে জানাই বেকার নিবন্ধন সনদ অর্জনকারীদের পক্ষ থেকে সালাম। আসসালামু আলাইকুম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ আপনি বিশ্ব নেতাদের শীর্ষস্থানে। আপনি বিশ্বমানবতার কণ্ঠস্বর। বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা। আপনি বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আজ অত্যান্ত হতাশা ও দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনার সমীপে কিছু কথা লিখছি। আমরা জানি আমাদের এই সমস্যার কথা কেউ শুনবে না। আপনি আমাদের মমতাময়ী মা, আমাদের সব সমস্যা সমাধানের একমাত্র অবলম্বন।
আপনার নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেতে পারে আমাদের এই বেকার নিবন্ধনধারী শিক্ষক সমাজ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি শিক্ষিত জাতি দেশের সম্পদ। আর সেই জাতি গড়ার কারিগর হলো শিক্ষক সমাজ। আমরা যখন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন অভিপ্রায়ে বিভিন্ন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনদ অর্জন করে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক নিবন্ধন সনদ অর্জন করে জাতীয় মেধাতালিকায় স্থান লাভ করি। বিগত বছরগুলোতে (এনটিআরসিএ) ৪টি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বয়স অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর নির্ধারণ ও সনদের কোন মেয়াদ নেই মর্মে নিয়োগ সম্পূর্ণ করেছে। শিক্ষক সংকট দূরীকরণে নিমিত্তেই নীতিমালা উপেক্ষা করে করেছে, যা অনেকটা শিক্ষক সংকট কেটেছে ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কার্যক্রম ত্বরান্বিত রাখার নিমিত্তেই করেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান সময়ে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সনদের মেয়াদ ১০(১) উপধারা উল্লেখপূর্বক বৈধ সনদধারী হতে হবে মর্মে উল্লেখ করেছে। সেক্ষেত্রে ১-১৫তম সব সনদ অকার্যকর ও আবেদনের সুযোগ দেওয়া থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে। ২২ অক্টোবর, ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ও রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি ৩০ মার্চ ২০২১ ও ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়।
উক্ত দুটি বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রম ১০(১) উপধারা বহাল রেখেই নিয়োগ সম্পন্ন করে।
৯ এর উপবিধি (২),(৩),(৪) ত বর্ণিত (৩)এর ক, খ, গ তে উল্লেখ আছে যে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে, লিখিত পরীক্ষার ফলাফল সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল ৩০ দিনের মধ্যে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা বিধিতে উল্লেখ রয়েছে।
১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ ফল প্রকাশিত হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে। ফলাফল প্রদানের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বয়স ৩৫ এর বেশি হয়েছে এবং সনদ হাতে পাওয়ার আগেই অকার্যকর হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বয়স ছাড়ের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। অথচ করোনা মহামারির সময়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ক্ষেত্রে ২৫ মার্চ, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ৩৫ বছর উল্লেখ থাকলেও ৩৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের প্রার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছে তাদের এমপিও হয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কারণেই আমাদের সনদ অকার্যকর ও আবেদনের যোগ্যতা হারাতে হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
আপনার নিকটই আমাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ক্ষেত্রে আপনার কাজে অংশীদার হতে চাই বেকার নিবন্ধিত শিক্ষক সমাজ। আপনি পারেন উদ্ভূত সমস্যা নিরসন করে বেকার নিবন্ধিত শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ প্রদান করতে।
বর্তমান ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা ৯৬,৭৩৬টি।
তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক দেখা যাচ্ছে যে, ১৬তম ১৭তম নিবন্ধন ধারীদের আবেদনের সুযোগ দিলে শিক্ষক পাবে ১৮-২০ হাজার। বাকি অনেক পদ শূন্য পড়ে থাকবে, যা শিক্ষা খাত হুমকির মুখে পড়বে। অন্যদিকে বেকারত্বের অভিশাপে নিবন্ধিত শিক্ষকের স্বপ্নকে নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
‘আমরা সরাসরি নিয়োগ চাচ্ছি না।’
আমরা চাচ্ছি ‘আবেদনের সুযোগ’
এমতাবস্থায়, আমাদের বিষয়টি সুবিবেচনাপূর্বক পর্যালোচনা করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার অংশীদার হওয়ার সুযোগ দান করতে চলমান ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দানের নির্দেশ প্রদানে আপনার সু মর্জি হয়।
নিবেদক নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধিত শিক্ষক সমাজ
১. রাসেল আহসান, প্রভাষক পদার্থবিজ্ঞান, ১১ তম ব্যাচ, রোল নাম্বার, ৪১২১৬৬৭৯
২. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, প্রভাষক ইসলাম শিক্ষা, ব্যাচ নাম্বার ১৪, রোল নাম্বার, ৪২৭০৬৩৮৮
৩. মো. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক ইংরেজি, ব্যাচ নং ১২, রোল :৩০২০৭২৭৬,
৪. মামুন হোসেন, প্রভাষক গণিত, ব্যাচ নং ১১, রোল ৪১৪০২২৬০
৫. এস এম রুহুল আমিন, প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যাচ ১১, রোল ৪০৪০৮৪২
এইচআর/জেআইএম