স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় নেবেন আলতাফ মাহমুদ


প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় নেবেন সাংবাদিকবান্ধব জনপ্রিয় নেতা আলতাফ মাহমুদ। রাজধানীসহ সারাদেশে হাজার হাজার সাংবাদিক তার সুস্থতা কামনায় আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে দোয়া করছেন। চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে আশাবাদী। তবে এ মুহূর্তে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। তিন সপ্তাহের আগে চিকিৎসকরা বলতেই পারবেন না তিনি সুস্থ হতে কতটুকু সময় নেবেন!

সার্ভিক্যাল কমপ্রেসিভ মাইলো রেডিকিউলোপ্যাথি নামক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমইইউ) হাসপাতালের ৩১১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। স্পাইনাল কডে অতিরিক্ত চাপের কারণে এই জনপ্রিয় সাংবাদিক নেতার দুই পা সম্পূর্ণরূপে ও দুই হাত আংশিক প্যারালাইজড হয়ে যাওয়াটাই চিকিৎসকদের দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলেছে।

এমনই এক অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আলতাফ মাহমুদে স্পাইনাল কডের অস্ত্রোপচার শুরু হবে। প্রখ্যাত নিউরো সার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও তার টিম তার অস্ত্রোপচার করবেন।

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জাগো নিউজকে জানান, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আজ (বুধবার) শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আলতাফ মাহমুদের ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকায় সকলেই কাল (বৃহস্পতিবার) সকালেই অস্ত্রোপচারের পক্ষে মত দিয়েছেন। জটিল এ অস্ত্রোপচারে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

অস্ত্রোপচারের পর আলতাফ মাহমুদের সুস্থ হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের অস্ত্রোচারে হরহামেশাই রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ফটো সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিবও একই ধরনের রোগে ভুগছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আলতাফ মাহমুদের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী বলে জানান।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জাগো নিউজকে জানান, আলতাফ মাহমুদের দু’পা সম্পূর্ণরূপে ও হাত আংশিক প্যারালাইজড থাকার পাশাপাশি তার হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস থাকায় তারা কিছুটা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত। অস্ত্রোপচারের তিন সপ্তাহ পর থেকে তার সুস্থ হওয়ার অগ্রগতি বোঝা যাবে বলে ওই সদস্য জানান।  

প্রবীণ জনপ্রিয় এই সাংবাদিক নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে গত রোববার নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়।

মেডিকেল বোর্ডে আরো যারা রয়েছেন তারা হলেন; কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, নিউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আনোয়ার উল্ল্যাহ, নিউরোসার্জারি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফজাল হোসেন ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মঈনুজ্জামান।

মেডিকেল বোর্ডের বাইরে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দবিরউদ্দিনও রয়েছেন।

এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।