রাজশাহীতে বিটিভির স্টুডিও
রাজশাহী মহানগরীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) স্টুডিও স্থাপনে আবারও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এরই মধ্যে একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে প্রদান করেছেন।
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা টিভি স্টুডিও স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফজলে হোসেন বাদশা জানান, তথ্যমন্ত্রী এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে আমরা জেনেছি।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোটের সরকার এ সংক্রান্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রদানের পরে ক্ষমতায় এলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি জোট সরকার। এরপর বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে ১৪ দল ও মহাজোট রাজশাহী মহানগরীতে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র ও তার স্টুডিও স্থাপনের বিষয়টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় জনগণের কাছে। এর পরেও রাজশাহীতে বিটিভির স্টুডিও স্থাপনের প্রক্রিয়া তেমনভাবে অগ্রগতি লাভ করেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বিটিভির স্টুডিও স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে স্থানও নির্বাচন করা হয়েছে। তবে এটি মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে হবে জানালেও ঠিক কোথায় স্থাপন করা হচ্ছে সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্টুডিওটি স্থাপিত হলে রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হবে। বর্তমানে তিনি এ উদ্যোগ সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজশাহীতে বিটিভির পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও স্থাপনের দাবিতে নব্বই দশকের শুরুতে আন্দোলন শুরু হয়। সে সময় আন্দোলনকারীদের অভিনব কর্মসূচি সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট ও আন্দেলেনের সাথে সম্পৃক্ত করেছিল। ওই সময়ের কর্মসূচির মধ্যে ছিল রাজশাহী মহানগরীতে ১৫ মিনিটের সর্বাত্মক হরতাল, বিভিন্ন পেশাজীবীদের ধর্মঘট ও হরতাল, ১ মিনিটের জন্যে রাজশাহী স্তব্ধ ইত্যাদি। অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর রাজশাহী টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র পান বিভাগীয় শহরের অধিবাসীরা।
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন সরকার রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ টিভি স্টুডিও স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ওই সময় মহানগরীর কাজিহাটায় পুরাতন আনসার ক্যাম্প মাঠে ৩.৮৮ একর জমি ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়া ২০০১ সালে উদ্বোধন করা হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গতা লাভ করেনি। নির্মিত হয়নি কোনো স্টুডিও। অর্থসূচক