কিস্তিতে সেট টপ বক্স কেনার বিষয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী
এককালীনের পাশাপাশি কিস্তিতেও যাতে সেট টপ বক্স কেনার সুযোগ থাকে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ক্যাবল অপারেটিং পদ্ধতি ডিজিটাল করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অগ্রগতি কতটুকু সেটি পর্যালোচনা করেছি। ক্যাবল অপারেটররা বলেছেন, সারাদেশে গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। ফিড অপারেটররাও সেট টপ বক্স কেনার জন্য বিনিয়োগ করেছে। ক্যাবল অপারেটিং পদ্ধতি ডিজিটালাইজড হলে গ্রাহক ভালোমতো টেলিভিশন দেখতে পারবেন। বছরে ১৫০০-১৮০০ কোটি টাকা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সব গ্রাহককে ডিজিটালাইজড করতে পারলে এ টাকা সরকার রাজস্ব পাবে। ক্যাবল অপারেটররাও তাদের পাওনা সঠিকভাবে পাচ্ছে না। টেলিভিশনগুলোও তখন পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
ড. হাসান আরও বলেন, এরই মধ্যে এক রিটের শুনানি নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা নিয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আশা করছি স্থগিতাদেশ উঠে যাবে। আদেশ ওঠে গেলে আমরা আবার বসে সময় কতটুকু বাড়ানো যায় সেটা ঠিক করবো। গ্রাহক পর্যায়ে প্রস্তুতি দেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সব ধরনের গ্রাহকরা যাতে সহজে বিভিন্ন মানের সেট টপ বক্স পায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী যাতে সেট টপ বক্স কিনতে পারেন সে আলোচনাও হয়েছে। এককালীনের পাশাপাশি কিস্তিতেও যাতে সেট টপ বক্স কেনার সুযোগ থাকে সেটি নিয়েও আলোচনা করেছি। সরকারি কোনো সংস্থার মাধ্যমে দেশেও এটি উৎপাদন করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ক্যাবল অপারেটিং ডিজিটাল করতে রিট ছাড়া অন্য কোনো জটিলতা আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল অপারেটররা প্রস্তুতি নিয়েছেন। ডিজিটাল হেডঅ্যান্ড বসানোর কাজটি তাদের করতে হয়। সেটি তারা অলমোস্ট সারাদেশে করেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়াও মেট্রোপলিটন শহরসহ অন্য শহরেও করেছেন। কিন্তু শুধু ডিজিটাল হেডঅ্যান্ড বসলেই ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল হবে না, প্রত্যেকটা গ্রাহকের কাছে সেট টপ বক্স থাকতে হবে, তবেই ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটালাইজড হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে এখনো সবাই সেট টপ বক্স কেনেনি বা সবাইকে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। দেশে স্টক ও সাপ্লাইয়ের বিষয় আছে। কত শতাংশ গ্রাহকের কাছে সেট টপ বক্স আছে সে পরিসংখ্যান তারা দিতে পারেনি, তবে অনেক গ্রাহকের কাছে এখানো সেট টপ বক্স নেই। গ্রাহকের কাছে না থাকলে অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করা সম্ভব নয়। সেট টপ বক্স সংগ্রহ করতে গ্রাহক যাতে আরেকটু সময় পায় সেজন্য সময় বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম