চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের এর ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৫ সালের এই দিনে (২৯ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় যমুনা নদীতে কালাসোনার ড্রেজিং পয়েন্টে দু’টি নৌকাডুবির তথ্যানুসন্ধান করতে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘শেরেবাংলা’ ফেরির ছাদ থেকে তিনি নদীর পানিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। ৩০ ডিসেম্বর হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত করে তাকে রংপুর শহরের মুন্সী পাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নাম মোনাজাত উদ্দিন। ডেস্কে বসে সাংবাদিকতায় নির্ভর করে খবরের অন্তরালে যে সব খবর লুকিয়ে থাকে সেই সব তথ্যানুসন্ধান এবং রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন। গ্রামে-গঞ্জে, পথ থেকে পথে ঘুরে ঘুরে এই তথ্যানুসন্ধানী সংবাদকর্মী তার সাংবাদিক জীবনে নানা মাত্রিকতার রিপোর্ট করেছেন। পাশাপাশি লিখেছেন জীবনের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ নানা ঘটনা। তিনি ছিলেন তৃণমূল মানুষের সংবাদ কর্মী।

তৃণমূল সংবাদকর্মী বাংলার চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন এর জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৮ জুন রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া গ্রামে। বাবা মো. আলিমউদ্দিন আহমদ, মা মতি জানন্নেছা।

মোনাজাত উদ্দিনের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ছাত্র অবস্থাতেই। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন ‘বগুড়া বুলেটিন’ পত্রিকার মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকার দৈনিক আওয়াজ পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেন স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে । পরে কিছুদিন দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় কাজ করে ১৯৬৬ সালে ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি হিসেবে কাজে যোগদান করেন। এরপরে ১৯৭৬ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’-এ কাজ করার সুযোগ পান। তারপর থেকে একটানা প্রায় বিশ বছর সেখানেই কাজ করেছেন । সংবাদই ছিল তার ঠিকানা। বিশ বছর একটানা সংবাদ-এ কাজ করার পর ১৯৯৫ সালে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন। মৃত্যুর আগ দিন পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।

এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।