সাংবাদিক তানুকে গ্রেফতারের বিষয়ে যা বললেন ওসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৬ এএম, ১১ জুলাই ২০২১
সাংবাদিক তানভীর হাসান তানু

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জাগোনিউজ২৪.কমের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নাদিরুল আজিজের করা মামলায় শনিবার (১০ জুলাই) রাতে তানুকে গ্রেফতার করা হয়

এ মামলায় তানু ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি রহিম শুভকে আসামি করা হয়েছে।

তানুকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনি (তানু) মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি। বেশ কিছু তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই তারা (বাদী) এজাহার দিয়েছেন। এটার ওপর ভিত্তি করে তাকে গ্রেফতার করেছি।’

মামলা নেয়ার আগে তদন্ত করার নির্দেশনা আছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিউজটা পড়েছিলেন কি-না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘জ্বি, নিউজটা জ্বি, পড়ছিলাম।’

মামলার এজাহারেই ‌সে সময় (প্রতিবেদনে উল্লিখিত) খাদ্যের যোগান কম ছিল উল্লেখ আছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওসি বলেন, ‘তা তো বলতে পারব না, এজাহারে এ ধরনের কোনো কিছু নেই।...এখানে তো আমাদের করার কিছু নেই। আমরা তো এজাহার পেলে এয়ে করতে পারব না। এজাহার পেলে তো আমাদের মামলা নিতেই হবে। গতকাল এজাহার পেয়েছি। আমরা যখন মামলা নিই তখন কনফার্ম করেই, মামলা নিই।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ জুলাই জাগোনিউজ২৪.কম, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও বাংলাদেশ প্রতিদিনে করোনা রোগীর খাবার নিয়ে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, জনরোষ সৃষ্টিকারী মানহানিকর’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে তানুকে গ্রেফতারের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মুক্তি দাবিতে এবং মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ করেন সাংবাদিকরা। তারা তানুর মুক্তি ও সাংবাদিকদের নামে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর প্রতিবাদলিপিসহ বিভিন্নভাবে অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। কিন্তু এ ধরনের কোনো পন্থায় না গিয়ে সরাসরি সাংবাদিকের নামে মামলা করে তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী জাগো নিউজকে বলেন, একটি সত্য সংবাদ করার পরেই এভাবে মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করার মানে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা। মামলা দায়ের ও সাংবাদিককে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই আমি। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে এবং গ্রেফতার সাংবাদিককে মুক্তি দেয়া না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি নেয়া হবে।

এসইউজে/এমআরএম/এইচএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।