কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে জনকণ্ঠ অফিসে তালা
দৈনিক জনকণ্ঠে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকে তালা দিয়েছেন চাকরি হারানো কর্মীরা। এখন তারা রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে জনকণ্ঠ অফিসের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জনকণ্ঠের কর্মীদের অভিযোগ, গত সাত বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে পদোন্নতি এবং ইনক্রিমেন্ট বন্ধ ছিল। এরমধ্যে অনেক কর্মীর অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসব যৌক্তিক পাওনা পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি। এর মধ্যে গত ১৬ মার্চ অন্তত ৬০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করে তাদের মেইলে চিঠি পাঠায় জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। তাই এই ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে তারা আন্দোলন করছেন। অবিলম্বে এই ছাঁটাইয়ের আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি বকেয়া বেতন-ভাতা এবং প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।
বেলা ১২টা থেকে শুরু হওয়া ওই অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল আলমসহ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, জনকণ্ঠে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পাশে আমরা রয়েছি। আমরা চাই দ্রুত সময়ে তাদের পুনর্বহাল করা হোক।
তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের কয়েকদিন পরই (গত ২২ মার্চ) মারা যান দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ।
এমএমএ/বিএ/জিকেএস