ডিআরইউ-গ্রামীণফোন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২৭ সাংবাদিক
ডিআরইউ-গ্রামীণফোন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২৭ জন সাংবাদিক। অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশিত সেরা প্রতিবেদন থেকে এ ২৭ জনকে নির্বাচন করা জয়। সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এ পদক দেয়া হল।
রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইনে প্রকাশিত এবং প্রচারিত মোট ৪৫১টি রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ২৭টি প্রতিবেদন বাছাই করা হয়। সবচেয়ে বেশি মূল্যের তিনটি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিটির সম্মানী ১ লাখ টাকা।
এ অ্যাওয়ার্ড তিনটির মধ্যে শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের জন্য তিনজনকে ‘সাগর-রুনি স্মৃতি পদক’, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য একজনকে ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ‘শফিকুল কবির স্মৃতি পুরস্কার’ এবং তথ্য ও প্রযুক্তির প্রতিবেদনের জন্য একজনকে ‘পথিক সাহা স্মৃতি পদক’ দেয়া হয়।
এ ছাড়া ২২টি অ্যাওয়ার্ড অপর ২২ জনকে দেয়া হয়। যার প্রতিটির মূল্যমান ৭৫ হাজার টাকা।
এবার ‘সাগর-রুনি স্মৃতি পদক’ তিনটি ছাড়াও প্রিন্ট রিপোর্টিংয়ে জন্য ১৫টি, টেলিভিশন রিপোর্টিংয়ে জন্য ছয়টি, অনলাইন রিপোর্টিংয়ে জন্য দুটি এবং বেতার রিপোর্টিংয়ে জন্য একটি পুরস্কার দেয়া হয়।
এর মধ্যে ‘সাগর-রুনি স্মৃতি পদক’ পেয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের আলাউদ্দিন আহমেদ, দ্য রিপোর্টের কাজী জামশেদ নাজিম এবং প্রথম আলোর রোজিনা ইসলাম।
‘শফিকুল কবির স্মৃতি পদক’ পেয়েছেন সমকালের মো. আবু সালেহ। ‘পথিক সাহা স্মৃতি পদক’ পেয়েছেন গাজী টেলিভিশনের রাজু আহমেদ।
প্রিন্ট মাধ্যমে পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন- শিক্ষা বিষয়ে যায়যায় দিনের মো. মামুন হোসেন; সংসদ, আইন, বিচার ও নির্বাচন কমিশন বিষয়ে প্রথম আলোর সেলিম জাহিদ, রাজনীতি বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের জুলফিকার আলী মানিক, নগরীর সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে দৈনিক বর্তমানের দিপন নন্দী, অর্থনীতি বিষয়ে জনকণ্ঠের শাহ মো. কাওসার রহমান, নারী ও শিশু বিষয়ে ইত্তেফাকের শিপন হাবীব, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে সমকালের রাজীব নুর, ক্রিয়া বিষয়ে কালের কণ্ঠের মো. রাহেনুর ইসলাম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিষয়ে জনকণ্ঠের মো. মামুনুর রশিদ মামুন, কৃষি বিষয়ে ডেইলি স্টারের পরিমল পালমা, অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে জনকণ্ঠের সুমি খান, জনশক্তি বিষয়ে ইনকিলাবের তাকি মো. জোবায়ের, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রথম আলোর ফখরুল ইসলাম হারুন, স্বাস্থ্য বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।
টেলিভিশন রিপোর্টিংয়ে অর্থনীতি বিষয়ে চ্যানেল২৪ এর মজুমদার বাবু, নগরীর সমস্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে যমুনা টেলিভিশনের নাজমুল হোসেন, অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে চ্যানেল আইয়ের মোরছালিন বাবলা, সুশাসন ও দুর্নীতি বিষয়ে ৭১টিভির পারভেজ নাদির রেজা, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির শিমুল বাশার।
অনলাইনে মানবাধিকার বিষয়ে বাংলানিউজ২৪ এর রফিকুল ইসলাম মন্টু, উন্নয়ন ও সমস্যা বিষয়ে দ্য রিপোর্টের আবু হানিফ রানা এবং রেডিওতে পুরস্কার পান এবিসি রেডিওর শাহনাজ শারমীন।
জমা হওয়া রিপোর্টগুলোর মধ্যে সম্মানিত বিচারকরা প্রতি বিষয়ে একজনকে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলে। তাই অবাধ সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রচার করে গণমাধ্যম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন মারকাস অ্যাডকটুসন বলেন, গ্রামীণফোন সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে উৎসাহ প্রদান করে থাকে। ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
ডিআরইউর সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আর উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরছালিন নোমানী প্রমুখ।