স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন করলেন ঢাবি সাংবাদিকরা


প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিস অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে সেমিনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ। সেখানে অনুষ্ঠান কাভারেজ দিতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাংবাদিক। কিন্তু প্রবেশপথে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক ও বিভাগের দায়িত্বরত সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহানুর হোসেন সাংবাদিকদের আইডি কার্ড ও ভিসিটিং কার্ড দেখতে চান। সাংবাদিকরা আইডিকার্ড দেখানোর পর ভিজিটিং কার্ড দিতে দেরি হলে সঙ্গে সঙ্গেই ভুয়া সাংবাদিক বলে বাজে মন্তব্য করেন। এসময় স্বেচ্ছাসেবকরাও সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং তাদেরকে অনুষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেয়। এসময় সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

এরপর বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে যান। তখন ওই শিক্ষক শাহানুর হোসেন সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গেও একই আচরণ করেন। সাংবাদিক নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিভাগের চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদকে বিষয়টি অবহিত করলেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি। তারপর সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় শিক্ষক শাহানুর হোসেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চত্বর থেকে একটি মোটর সাইকেলে করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে রাজনৈতিক নেতার মতো প্রটোকল দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসতে দেখা যায়। এসময় তাকে ‘এই রিকশা! তাড়াতাড়ি সর’ বলে জোরে জোরে চিৎকার করে রাস্তা খালি করতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাসানুল বারী বলেন, ‘ঢাবির একজন শিক্ষক হিসেবে এ ধরণের রাজনৈতিক প্রটোকলে নিয়োজিত থাকা লজ্জাজনক।’

অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে এসে বক্তব্য রাখার আগেই মন্ত্রীর বক্তব্য দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেন অনুষ্ঠানটির আয়োজকরা।

এমএইচ/একে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।