ডিআরইউ’র ১১০ জনের সদস্যপদ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯

প্রবাস জীবনযাপন করছেন এবং সাংবাদিকতা ছেড়ে অন্য পেশায় কর্মরত রয়েছেন -এমন ১১০ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

গত ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ডিআরইউ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে ডিআরইউ’র নোটিশ বোর্ডে সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার কারণসহ তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারীর সই করা সদস্যপদ স্থগিত-সংক্রান্ত নোটিশে বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যপদে শৃঙ্খলা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গঠনতন্ত্রের ধারা ৫ এর উপধারা (ক) অনুযায়ী রিপোর্টিং পেশা ত্যাগকারীদের সদস্যপদ রাখার বিধান নেই।

আরও বলা হয়, তারপরও অনেক সদস্যের অবদান ও আন্তরিকতা বিবেচনা করে রিপোর্টিং পেশা ত্যাগকারী সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সর্বশেষ পেশাগত অবস্থান ও মতামত জানার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে প্রবাস জীবনযাপন করছেন এবং অন্য পেশায় কর্মরত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এমন ১১০ জন সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করা হলো।

নোটিশে বলা হয়, ওই পেশা (সাংবাদিকতা ছেড়ে অন্য যে পেশায় আছেন) ত্যাগ করে এবং বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করে ডিআরইউ’র গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত শর্ত অনুসারে সার্বক্ষণিক রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করলে এসব সদস্য তাদের সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন।

সদস্যপদ স্থগিত করা হলেও এ বিষয়ে আপত্তি বা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। নোটিশে এ বিষয়ে বলা হয়, স্থগিতাদেশের বিষয়ে কোনো ধরনের আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে তা লিখিতভাবে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ডিআরইউ কার্যালয়ে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

ডিআরইউ’র গঠনতন্ত্রের ৫ এর (ক) উপধারা বলা আছে, ‘কোনো স্থায়ী সদস্য সাংবাদিকতা পেশা ত্যাগ করে অন্য কোনো পেশায় যোগদান করলে তার সদস্যপদ স্থগিত থাকবে। তবে উক্ত পেশা ত্যাগ করে গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত শর্ত অনুসারে সার্বক্ষণিক রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করলে তিনি আবার সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন।’

সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের তালিকা

এমএএস/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।