সংবাদপত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার চায় নোয়াব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

ভ্যাট আইনে সংবাদপত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া আছে। এরপরেও এ খাতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। তাই সংবাদপত্রে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসির সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে এ দাবি করেন নোয়াব নেতারা। একই সঙ্গে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোরও প্রস্তাব করা হয়।

নোয়াব সভাপতি ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, সংবাদপত্রের পাঠক সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। এর ফলে আয়ও কমে যাচ্ছে। অনলাইনেও আয় তেমন নেই। সংবাদপত্র প্রকাশে বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়ছে।

সংবাদপত্রে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাট আইনে সংবাদপত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া আছে। এরপরেও এ খাতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ কর প্রত্যাহার করতে হবে।

সাংবাদিকদের বাড়িভাড়া হিসেবে পরিশোধিত অর্থেও শতভাগ করমুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে মতিউর রহমান বলেন, মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িভাড়ায় করমুক্ত রয়েছে। বর্তমান বেতন কাঠামোতে সাংবাদিকদের বাড়িভাড়া দেয়া হয় ৭০ শতাংশ। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ায় কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নইম নিজাম বলেন, অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জের সব থেকে বড় জায়গা হচ্ছে ব্যাংক। ব্যাংকে কোনো প্রকার দায়বদ্ধতা নেই। কিছু মানুষ ঋণের নামে লোপাট করছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে অর্থনীতিতে সঙ্কট আরও বাড়বে। এছাড়া শেয়ার বাজার নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে।

ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ট্যাক্সের আওতা বাড়াতে হলে ইনসেনটিভের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যাংকিং খাতে আস্থা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাজেটে এ নিয়ে পদক্ষেপ থাকা উচিত।

এ সময় দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।