বিদেশি টিভি চ্যানেল : আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৫ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৯

বাংলাদেশে ডাউনলিংকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে হলে এ দেশের আইন মানতে হবে। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি কোনো টেলিভিশন চ্যানেলের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অ্যাটকোর সভাপতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার এমডি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, ডিবিসির চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চ্যানেল ২৪ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ, ৭১ টেলিভিশনের সিইও মোজ্জাম্মেল বাবু, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলমসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১ এপ্রিল থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারপরও বিজ্ঞাপন প্রচার করায় পরিবেশক (ডিস্ট্রিবিউটর) সংস্থা ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড এবং জাদু ভিশন লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সে নোটিশের প্রাথমিক জবাব দিয়ে বিস্তারিত জানাতে তারা আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে। এটি মঞ্জুর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি, বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করতেও চায় না। তবে আইন বাস্তবায়ন করতে চায়। দুটি ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থা আইন ভঙ্গ করেছে, এর সঠিক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে তাদের লাইসেন্স বাতিল বা ২ বছরের কারাদণ্ড বা আর্থিক দণ্ড হতে পারে।

কোনো কোনো ক্যাবল নেটওয়ার্ক মালিক বলেছেন, বাংলাদেশি চ্যানেল না চালালেও চলবে- এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি কাকে, কোথায়? কি বলেছে? সেটার ওপরতো আমি মন্তব্য করতে পারি না। তবে বাংলাদেশে যদি কেউ সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে হয়, বাংলাদেশের আইন মানতেই হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৪৪টি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দেয়া আছে। ৩৩টি টেলিভিন অন এয়ারে আছে এবং আরও কয়েকটা খুব সহসাই অনএয়ারে আসবে।

তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হচ্ছে, তা আইন লঙ্ঘন করে, এটি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে হয়ে আসছে। যারা ডাউনলিংকের লাইসেন্স পেয়েছেন, তারা ইতিঃপূর্বে কখনও নোটিশ পাননি। এই প্রথম আমরা ১ এপ্রিল তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি চ্যানেলে শুধু বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন নয়। আইন আনুযায়ী কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে না। আমি সাংবাদিক বন্ধুদের এ বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই। কারণ, আমি দেখেছি, অতীতে কোনো কোসো সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘দেশি’ বিজ্ঞাপন।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী দেশি নয়, কোনো ধরনের বিজ্ঞাপনই তারা (বিদেশি চ্যানেল) এ দেশে প্রদর্শন করতে পারে না। এই আইন যে শুধু আমাদের দেশে আছে তা নয়। এ আইন ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে আছে।

সময় দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আইন মানার জন্য যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যদি যৌক্তিক সময় চায়। সেটি দেয়া যেতে পাবে। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে, পাশ কাটানোর জন্য যদি কেউ সময়…… সেটিতো দেয়া যাবে না। কালক্ষেপণের উদ্দেশ্য যদি কারও থাকে। তাহলে সে সময়তো দেয়ার সুযোগ নাই। সেক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এমইউএইচ/আরএস/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।