‘বিচারক ও সাংবাদিকদের রাজনীতির গুটি হওয়া চলবে না’
বিচারবিভাগ ও গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিচারক ও সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের প্রহরীর ভূমিকা পালন করেন। তাই নীতি ও গণতন্ত্রে তাদের অটল থাকতে হবে, রাজনীতির গুটি হওয়া চলবে না, ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদে পা দেয়া চলবে না, নিরপেক্ষতার নামে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারকে এক পাল্লায় মাপা চলবে না।
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি চাই, রাজনীতিক বিচারক চাই না। স্বাধীন আদালত চাই, আদালত রাজনীতির মঞ্চ হবে না। আদালত বিচারকার্য করবে, রাজনীতিতে নাক গলাবে না। বিচারপতিরা ইতিহাস পাঠ করবে, ইতিহাস বিকৃত করবে না। বিচারপতিরা সংবিধানের ব্যাখ্যা দেবেন, জনগণের অভিভাবক হবার চেষ্টা করবেন না। জনগণই দেশের অভিভাবক।’
মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে পিআইবি এবং একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির উদ্যোগে সাংবাদিকতা শেখার ই-লার্নিং প্লাটফর্ম ‘অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স অন জার্নালিজম’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইনু বলেন, ‘একইভাবে সাংবাদিকরা গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষা করবে, মিথ্যাচার, তথ্যবিকৃত, অপসাংবাদিকতা, পোষা-সাংবাদিকতা থেকে দূরে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায় পর্যবেক্ষণে সংসদকে খাটো করায় ষড়যন্ত্রের রাজনীতি উৎসাহিত হয়েছে এবং বিএনপি সে সুযোগ নিচ্ছে।’
বর্তমান সাংবাদিকতার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে তথ্যমন্ত্রী এসময় চিরায়ত, অনলাইন ও নাগরিক সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করে সাংবাদিকদের ডিজিটাল ও অনলাইন পদ্ধতি প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিরেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।
এইউএ/জেডএ/বিএ