এবিসি থেকে পদত্যাগ করলেন সানাউল্ল্যাহ লাবলু
এবিসি রেডিও’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন স্বনামধন্য সাংবাদিক সানাউল্ল্যাহ লাবলু। জানা গেছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিষয়ে টানাপড়েন চলছিলো তার। সেই জের ধরেই গত ৯ মার্চ তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। দেশের একটি গণমাধ্যমে নাম গোপন রেখে এবিসির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথাই বলা হয়েছে।
সানাউল্ল্যাহ লাবলু ছিলেন ভোরের কাগজের ডাকসাইটে রিপোর্টার। এরপরে তিনি প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে সমকালে যোগ দেন। অবশেষে বার্তা ও অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে যোগ দেন প্রথম আলোরই সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিসি রেডিওতে। ২০০৯ সালে এটি আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারে আসে। তখন থেকেই সানাউল্ল্যাহ লাবলু এবিসির প্রধান ব্যক্তি।
তবে হঠাৎ করেই কেন এই পদত্যাদ? এ বিষয়ে সানাউল্ল্যাহ লাবলু তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, “ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা জানেন কাজের বিষয়ে আমি কিছুটা খুঁতখুতে। ভালো সাংবাদিকতার মূল শর্তই হলো তথ্যের যর্থার্থতা নিশ্চিত করা।
সংবাদ প্রধান থেকে এবিসি রেডিও`র বিনোদন প্রধান স্টেশনে রূপান্তর নিয়ে `কর্তৃপক্ষের` সঙ্গে আমার কখনো বিরোধ ছিল না, এখনো নেই। এবিসিতে সংবাদ আছে, প্রতি ঘণ্টায়। তবে আকারে কিছুটা কমেছে। এবিসির সংবাদ আগের মতোই এখনো শ্রোতাদের কাছে সমান জনপ্রিয়।
এবিসির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সবার মতো আমারও চ্যালেঞ্জ ছিল, একে শ্রোতাপ্রিয় এবং লাভজনক করে তোলা। সংবাদ প্রধান রেখে সেটা হচ্ছিল না। শ্রোতা জরিপ করে, এর মাধ্যমে পাওয়া ফলাফলকে হিসেবে নিয়ে আমরা এবিসিতে বিনোদনে গুরুত্ব বাড়াই।
আর এর সুফল পেতে আমাদের সময় লেগেছিল মাত্র ৬ মাস। গতমাসেও (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫) বাণিজ্যিক এফএম স্টেশনগুলোর বিনোদনমূলক শীর্ষ প্রিয় ১০টি অনুষ্ঠানের ৬টিই ছিল এবিসি রেডিও`র। পাশাপাশি টানা প্রায় ২ বছর ধরে এবিসি রেডিও শ্রোতাপ্রিয়তায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে এবিসি রেডিও`র সব কর্মী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সমন্বিত চেস্টায়। এবিসি রেডিও এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানও।
প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে টানাপড়েন হয়। সেটাই স্বাভাবিক। আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক ছাড়া কোনো কাজ হয় না, এগোয় না। আমার এবিসি ছাড়ার কারণ `কর্তৃপক্ষের` সঙ্গে টানাপড়েন নয়।
মিডিয়া ছাড়া আর কিছু আমি পারি না। মিডিয়াতেই আছি। নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নেয়ার আগ্রহ থেকেই আমি এবিসি রেডিও ছাড়ছি।"
এলএ/পিআর