গণমাধ্যম এখনই সবচেয়ে স্বাধীন, দাবি তথ্য মন্ত্রণালয়ের
স্মরণকালের মধ্যে এখনই গণমাধ্যম সবচাইতে স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে দাবি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার সম্পাদক পরিষদের নামে প্রকাশিত তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যম সবচাইতে বেশি সম্প্রসারিত ও বিকাশ লাভ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে গত ৬ বছর ২ মাসে সরকার গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপমূলক কোনো আইন প্রণয়ন করেনি। সম্প্রচার মাধ্যমের বিকাশের লক্ষ্যে উন্মুক্ত মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে যে সম্প্রচার কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন, তাও সকল গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির আওতাধীন। বিদ্যমান প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট, প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, টেলিভিশন লাইসেন্স প্রদানের শর্তাবলী বা বিজ্ঞাপন নীতি কোনটিই গণমাধ্যমের সংকোচন বা নিয়ন্ত্রণমূলক নয়। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও সাংবাদিক গ্রেপ্তার আইন সংশোধন করে শিথিল করেছে। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন এ মুহূর্তে দেশে নেই’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করার জন্য এবং অবাধ তথ্য ও সংবাদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে, গঠন করেছে তথ্য কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সরকার তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছে। সকল সাংবাদিকের সুষম বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে ওয়েজবোর্ড। অসুস্থ, অসচ্ছল, আহত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনকে সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে একবাক্যে সকলেই স্বীকার করেছেন।’
বিবৃতিতে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিগত সরকারের আমলে যেখানে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক মিলে মোট ছয়শত পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতো, সেখানে এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার দুশো’রও বেশি। দেশে এখন ২৬টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারিত হচ্ছে, যেখানে সরকারি টেলিভিশনের সংখ্যা মাত্র তিনটি। একইসাথে বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে ১১টি এফএম রেডিও। এছাড়া ৩২টি কমিউনিটি রেডিওকে সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছে, যার মধ্যে ১৪টির পূর্ণ সম্প্রচার চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো গণমাধ্যমের কোনো প্রকাশনা বা সম্প্রচার বিষয়ে সংসদ যদি আলোচনা বা সমালোচনা করে, তা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করে সংসদ।
এসআরজে