সাগর-রুনি হত্যা

২ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি/ফাইল ছবি

মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। আগামী ২ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিলে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিকরা।

এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে আগামীকাল বুধবার। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা। 

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। এরপরও কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া নিয়ে কেবল সময়ই চেয়েছে, কালক্ষেপণ করে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। কারণ এ হত্যার সঙ্গে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেকে জড়িত ছিল।

তারা বলেন, বিগত সরকার এ পর্যন্ত ১১৪ বারের মতো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়েছে। ফলে সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করবো বর্তমান সরকার এ মামলা এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা জেনেছি, আগামী ২ মার্চ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেবে। সে পর্যন্ত আমরা এ সরকারকে সময় দিচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ডিআরইউয়ের সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, বিগত সরকার ফ্যাসিস্ট বলে এ মামলার বিচার হয়নি। এত বড় হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, সেটাও আমরা জানতে পারিনি। বারবার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। কারণ খোদ ওই সরকারের প্রভাবশালীরা এ খুনের সঙ্গে জড়িত।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, এখন সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় শেষ। এখন বিপ্লবী সরকার, আমরা আশা করি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাবো। তারপরও আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। কোনোভাবে যদি এ সরকারও তদন্ত পেছায়, তবে ২ মার্চ ডিআরইউসহ অন্য সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে একটি সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হবে। তখন আমরাও রাস্তায় নামবো। জোরালো আন্দোলন হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ সময় ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, বেশ কয়েকজন সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য সম্পাদকীয় ও কার্যনির্বাহী সদস্য, সাগর-রুনির সহকর্মী ও অন্য সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে এ বিচার করেনি। বারবার এড়িয়ে গেছে। তারা র‌্যাবকে দিয়ে নাটক করেছে। ওই সংস্থা সাড়ে ১২ বছরে তদন্তে প্রতিবেদন দিতে পারেনি। এখন আমরা আশা করি পিবিআই ঠিক সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে, এ সরকার সাংবাদিকদের এতবড় দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো কালক্ষেপণ করবে না।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, এতদিনের এত আন্দোলন ও সংগ্রামের পরও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। কারণ ওই সময় সরকার জানতো তাদের নাম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে যাবে। এবার বিচার না হলে জাতীয় প্রেস ক্লাব, ডিআরইউ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সব সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে বৃহৎ সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এনএইচ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।