নারীর ওপর কোনো হস্তক্ষেপই কাম্য নয়

বাংলাদেশে নারীরা সহিংসতা, বৈষম্য এবং ন্যায়বিচার পেতে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। নারীর নিরাপত্তাহীনতা ও তাদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী অধিকার, বিচারপ্রক্রিয়া এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন নারী সংগঠন ‘নারীপক্ষ’র সদস্য ও আইনজীবী কামরুন নাহার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক রায়হান আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জাগো নিউজ: কেমন আছেন আপনি?
কামরুন নাহার: ভালো আছি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জাগো নিউজ: ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আজকের এই দিনে বাংলাদেশে নারীদের বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী বলে আপনার মনে হয়?
কামরুন নাহার: আমাদের সমাজে নারীরা সবসময় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কোনো না কোনো বাধা পেরিয়েই তাকে চলতে হয়। এখন নিরাপত্তাহীনতা অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। নারী ঘর থেকে বের হলেই ভাবে এই বুঝি মনে হয় কেউ তার শরীর নিয়ে মন্তব্য করলো। এই বুঝি কেউ তার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকে। এই আতঙ্কটা প্রায় সব নারীর জীবনে রয়েছে। নারীর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিটাই নারীকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে চলতে হয়। তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বৈষম্যমূলক। সেটা নারীর সঙ্গে আচার-আচরণ ও তাদের জন্য করা নিয়ম-কানুনেই বোঝা যায়। এখানে ধর্মকে অনেক সময় ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমি মনে করি, নারীর জীবনটা শুরু হয়, না পাওয়া থেকে। সেটা শুরু হয় পরিবার থেকে, এরপর এটার সঙ্গে যুক্ত হয় আমাদের সমাজ। এই চ্যালেঞ্জগুলো সব সময়ের। এখনকার চ্যালেঞ্জ আমরা দ্রুত জানতে পারি, কিন্তু আগেরগুলো জানতাম না। নারীর সব প্রতিবন্ধকতাকে আমি চ্যালেঞ্জ মনে করি। প্রতিটি নারীর সফলতার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা বা বৈষম্যের উপস্থিতি কিন্তু থেকেই যায়।
বিজ্ঞাপন
চ্যালেঞ্জগুলো সবসময়ের। এখনকার চ্যালেঞ্জ আমরা দ্রুত জানতে পারি, কিন্তু আগেরগুলো জানতাম না। নারীর সব প্রতিবন্ধকতাকে আমি চ্যালেঞ্জ মনে করি। প্রতিটি নারীর সফলতার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা বা বৈষম্যের উপস্থিতি কিন্তু থেকেই যায়।
জাগো নিউজ: বাংলাদেশের কোন কোন আইনের কারণে এখনো নারীরা অবহেলিত বা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন?
কামরুন নাহার: নারীদের কল্যাণের জন্য ৩০ থেকে প্রায় ৩৫টা আইন আছে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই আইনগুলো ভালো। কিন্তু আইনের সবচেয়ে বড় ভিত্তি হলো সংবিধান। এখানে কিছু জায়গায় স্বীকৃতি রয়েছে, কিছু জায়গায় দ্বিধা রয়েছে। ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে যখন বলা হয় সবাই সমান। সেখানে সমতা এখনো অনেক দূর। বাংলাদেশে নারীর ধর্মীয় যত আইন আছে, সবগুলোতে বৈষম্য লক্ষণীয়। তাদের উত্তরাধিকার আইনেও সমস্যা। মানুষ মনেই করে নারীর সম্পদের দরকার নেই। নারীকে যে তার প্রাপ্য দিতে হবে, এখানে মানুষ এড়িয়ে যায়। কারণ সবাই ভাবে নারীকে তার ভাই, বাবা কিংবা স্বামী দেখভাল করবে। এরকম মনোভাব সমাজে প্রতিষ্ঠিত। যার ফলে সম্পদ না থাকায় নারীর নিজস্বতা বলে কিছু থাকে না।
- আরও পড়ুন:
- আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
- জুলাই আন্দোলনে শক্তি-প্রেরণা জুগিয়েছেন নারীরা
- নারীরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে না, সুযোগ সৃষ্টি করবে
কিছু আইন আছে, ত্রুটিপূর্ণ। যৌন নির্যাতন প্রতিরোধের যে আইন, এটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটাই অনেক জটিল। এখানে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাব ফেলে। কারণ নারীর ওপর কোনো সহিংসতা হলে মানুষ বিশ্বাস করে না, যে এখানে নারী দায়ী না। সহিংসতা হলে, তার পোশাক ও সহিংসতা সংঘটনের সময়কে দায়ী করা হচ্ছে। নারী সেখানে কেনো গেলো, তুমি কেনো সেখানে গেলা? এসব প্রশ্ন করে নারীকে উল্টো হেয় করা হয়, কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা কারা করলো, কীভাবে করলো সেগুলোকে সমাজ গুরুত্ব দেয় না। আইন যারা প্রয়োগ করে তারাও এই সমাজের অংশ।
বিজ্ঞাপন
জাগো নিউজ: নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রচলিত আইনগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, আপনার অভিমত কী?
কামরুন নাহার: আইন থাকা সত্ত্বেও এর বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। এটা কেস স্টাডি ছাড়া বলা কষ্টকর। নারীর ওপর নির্যাতন হলে রাষ্ট্র উদাসীনভাবে তাকিয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষ মামলাও নিতে চায় না। কেউ যদি মামলা নথিভুক্ত করেও, সেটা প্রমাণের দায়িত্ব পড়ে যায় ভিকটিম নারীর ওপর। তাকেই অপদস্ত করা হয় প্রমাণের জন্য। যিনি অপরাধ করেন, তিনি সহজেই পার পেয়ে যান। আইন কার্যকরে এগুলো বাধা। একই সঙ্গে অপরাধীরা অনেক সময় রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যান। বিশেষ করে আইনগত সহায়তা, নিরাপত্তা ও মানসিক সহায়তার অভাবে অনেক নারী মামলা চালিয়ে যেতে নিরুৎসাহিত হন। নারী নির্যাতনের শিকার অনেক ভুক্তভোগী সামাজিক লজ্জা ও পারিবারিক চাপের কারণে মামলা করতে ভয় পান। পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা, তদন্তে গাফিলতি, ঘুস-দুর্নীতির কারণেও অনেক সময় অপরাধীরা বেঁচে যায়।
সহিংসতা হলে তার পোশাক ও সহিংসতা সংঘটনের সময়কে দায়ী করা হচ্ছে। নারী সেখানে কেন গেলো, তুমি কেন সেখানে গেলা? এসব প্রশ্ন করে নারীকে উল্টো হেয় করা হয়, কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা কারা করলো, কীভাবে করলো সেগুলো সমাজ গুরুত্ব দেয় না। আইন যারা প্রয়োগ করে তারাও এই সমাজের অংশ।
জাগো নিউজ: ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলায় বিচার পেতে দেরি হওয়ার পেছনে কি কোনো কারণ রয়েছে?
বিজ্ঞাপন
কামরুন নাহার: দেরি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমি মনে করি আমাদের রাষ্ট্রই বিচারের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। যারা ভিকটিম, তারা যতদিন মামলার বিষয়ে নড়াচড়া করে ততদিন কাজ আগায়। এই যে উদাসীনতা, দায় না নেওয়া, জবাবদিহিতার অভাব, এই জিনিসগুলোর কারণে বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপও অন্যতম কারণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যে অপরাধী তার সঙ্গে প্রভাবশালী অর্থাৎ অপরাধীর রাজনীতিকরণ। ধর্ষণের বিচারগুলোর ক্ষেত্রে ধর্ষণ প্রমাণ করাটা এখনো সহজলভ্য হয়নি। এটা বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের এটার অভাব রয়েছে। প্রমাণ ছাড়াই কাউকে ধর্ষকের অভিযোগ দেওয়া যায় না। যারা প্রকৃত ধর্ষিত সেটা বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জটা দিন দিন বাড়ছে। আদালতে সরকারি আইনজীবী থাকেন, কিন্তু সরকারি আইনজীবী নানান কিছু নিয়ে ব্যস্ত, রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত হওয়ায় এসব কেসকে গুরুত্ব দেন না। এছাড়া থানা, হাসপাতালে, সমাজকল্যাণের সমন্বয়হীনতার অনেক অভাব রয়েছে। ফলে বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
- আরও পড়ুন:
- যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশেও অদম্য বাংলার নারী
- বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে পাইলট-কেবিন ক্রুর সবাই নারী
- শিক্ষায় এগিয়ে থেকেও চাকরিতে পিছিয়ে নারী
জাগো নিউজ: সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে নারীর স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করছে?
কামরুন নাহার: সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে আমি মনে করি, সব সময় নারীকে কারো না কারো সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়। নারী জন্ম হলেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়াই দায়িত্ব মনে করা হয়। নারীর শরীর ও সৌন্দর্যকে মর্যাদার মাপকাঠি ধরা হয়। কোনো পরিবারের একটা মেয়েকে ভালো কিছু করার সুযোগ দেওয়া হলে অন্যজন এসে বলবে, না তুমি তাকে বিয়ে দাও। এসব দৃষ্টিভঙ্গির ফলে বাল্যবিবাহ বেড়ে যায়। বাল্যবিবাহ হয় পরিবার থেকে। কেউ জোর করে বিয়ে করে না। বাবা-মা নিরাপত্তাহীনতার কথা চিন্তা করে অনেক সময় বিয়ে দেয়। কিন্তু পরিবারের আবার মানসিকতা থাকে নারী একটা বোঝা, এই মানসিকতা দূর হচ্ছে না। নারীরা আবার এটাকে মেনেও নেয়। সামাজিক আরেক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীকে কেউ ধর্ষণ করলে, সমাজ তার সঙ্গেই বিয়ে দিতে চায়। নারীকে জোর করা হয়, নারীও মেনে নেয়। শরীর-যৌনতা ও ধর্মকে এটার সঙ্গে জড়িয়ে দেয়।
বিজ্ঞাপন
জাগো নিউজ: নারীর পোশাক ও চলাফেরার ওপর সামাজিক বিধিনিষেধ নিয়ে আপনার মতামত কী?
কামরুন নাহার: বিধিনিষেধ আমরা নিজেরাই বানাই। কোথাও কিছু বলা নেই, এটাই নারীর ড্রেস। আমাদের যে সংস্কৃতি সেটা মেনে নিয়েই আমাদের পোশাক। নারীর ওপর পোশাক কখনো চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যার যার পছন্দ অনুযায়ী পরা উচিত। নারীর ওপর কোনো হস্তক্ষেপই কাম্য নয়। আপনাকে দেখতে ভালো লাগছে না, আপনি দেখেই তার শরীর পোশাক নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। এটার অধিকার আপনার নেই। এটা যারাই করবে, সরকারকে কঠোরভাবে দমন করা উচিত। কেউ চাইলেই নারীর পোশাক নিয়ে যা ইচ্ছা তা মন্তব্য করতে পারবে না।
কোনো হস্তক্ষেপই কাম্য নয়। আপনাকে দেখতে ভালো লাগছে না, আপনি দেখেই তার শরীর, পোশাক নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। এটার অধিকার আপনার নেই। এটা যারাই করবে, সরকারকে কঠোরভাবে দমন করা উচিত। কেউ চাইলেই নারীর পোশাক নিয়ে যা ইচ্ছা তা মন্তব্য করতে পারবে না।
জাগো নিউজ: নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়লেও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সংখ্যা কম, বাধা কোথায়?
বিজ্ঞাপন
কামরুন নাহার: নারীর অংশগ্রহণ বাড়েনি। নারীকে সংসার সামলে কাজ করতে হচ্ছে। যারা চেষ্টা করে একটা পর্যায়ে যায়, সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় আসতে তাদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। তাই নারীর জন্য আলাদা সুযোগ রাখতে হবে। পলিসি মেকিং প্রক্রিয়ায় নারীর আসার প্রক্রিয়াটা অনুকূল নয় বলে আমি মনে করি। সেটা পুরুষের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কঠিন। নারীরা পারে না, এরকম একটা মানসিকতা এখনো আছে। আমি মনে করি, আগে নারীকে সুযোগ দেওয়া হোক, তারপর দেখা যাবে সে পারে কি পারে না?
জাগো নিউজ: নারীর অধিকার বাস্তবায়নে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাকে কীভাবে দেখছেন?
কামরুন নাহার: নারীর অধিকার বাস্তবায়নে এই দপ্তরের ভূমিকা অনেকটাই অকার্যকর। তাদের পদক্ষেপও দৃশ্যমান হচ্ছে না। এই মন্ত্রণালয় সবসময় সেকেন্ড ক্লাস ক্যাটাগরিতে আছে। কখনোই এখানে ফুল মন্ত্রীকে পাওয়া যায় না। এখানে যারাই আছেন, তাদের জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। শুধু প্রকল্পভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ তারা নেন। অন্য মন্ত্রণালয় নারীকে কীভাবে দেখছে, কতটুকু বাজেট দিচ্ছে সেটা দেখা উচিত। তারা সেটা করে না। এই মন্ত্রণালয় বেশিরভাগ সময় দাতা সংস্থার কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যায়। তাদের কাজ বলতে এটাই বেশি দেখা যায়। এখানে যারা রয়েছেন, নেতৃত্বের জায়গায় সংকট রয়েছে। জেলাভিত্তিক নারী কর্মকর্তারাও কিছুটা অবহেলিত। অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তারা পাল্লা দিতে পারছে না।
- আরও পড়ুন:
- নারী যেন অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়: তারেক রহমান
- নারীর প্রতি সহিংসতা-নিপীড়ন বরদাশত করবে না এনসিপি
- শিক্ষায় নারীর ঈর্ষণীয় সফলতা
জাগো নিউজ: সমাজে বঞ্চিত নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। তাদের সাবলম্বী কীভাবে করা যায়?
কামরুন নাহার: বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত বা যে কোনোভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীর ক্ষেত্রে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের দয়াটা বেশি দেখছি। তাদেরকে সাবলম্বী করার উদ্যোগ কম। কিছু উদ্যোগ নিলেও সেটা দয়া নির্ভর। একটা সেলাই মেশিন ধরিয়ে দিলেই কি নারী সব করে ফেলতে পারবে? রাষ্ট্রের কাজটা দয়াসুলভ, দায়িত্বসুলভ নয়। নারীর দক্ষতা অনুযায়ী, কর্মসংস্থান সৃষ্টি কিংবা নারীর দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ কম। নারীকে প্রণোদনা দিতে হবে। কোনো নারী সাবলম্বী হতে চাইলো, উদ্যোক্তা হতে চাইলো, কিন্তু আমাদের দেশের সিস্টেম অনেক বেশি নারীবিদ্বেষী। সেই নারীকে লোন পেতে হলে জমি কিংবা সম্পদের দলিল দেখাতে হয়। এটা তো নারীর নেই। এই সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনা দরকার। সরকার পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত নারীদের উন্নয়নের জন্য প্রণোদনাসহ এসব পদক্ষেপ নেওয়া এখন অতি জরুরি।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ আপনাকে, জাগো নিউজকে সময় দেওয়ার জন্য।
কামরুন নাহার: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরএএস/এসএনআর/এমএমএআর/এএসএম
টাইমলাইন
- ০৯:৫৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নই নারীর আসল ক্ষমতায়ন
- ০৯:৫৫ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী দিবসে জ্যাকুলিনের চমক
- ০৯:৩৩ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ প্রতিটি বাধাই উদ্যোক্তার বিকাশের একটি সুযোগ
- ০৮:৪০ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ পরিবেশ নিয়ে খুশি নন খোদ শিল্পীসংঘের সভাপতি
- ০৮:৩৮ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ হাইকোর্টে ১০ নারী বিচারপতি, আপিল বিভাগে নেই কেউ
- ০৭:৫৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারীর ওপর কোনো হস্তক্ষেপই কাম্য নয়
- ০৭:৪৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী দিবসে জায়েদ খানের প্রত্যাশা
- ০৭:১১ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ ‘যদি নিজেকে নারী হিসেবেই ভাবতাম, এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না’
- ০৬:৩৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উদ্দেশে যে বার্তা দিলেন কঙ্গনা
- ০৫:৪৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ অন্য উদ্যোক্তাদের নকল না করে নিজের সম্ভাবনা খুঁজতে হবে
- ০৫:১৪ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ দেশে দেশে প্রথা ভাঙা নারী তারকারা
- ০৪:৫৪ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মাননা
- ০৪:৫৩ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ শুটিংয়ের দুই বিড়ম্বনা, জানালেন অপু বিশ্বাস
- ০৪:৪৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ ‘সমাজটা নারীবান্ধব হতে হতে থেমে গেছে’
- ০৪:২২ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ মা-স্ত্রী ও মেয়ে আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তিন নারী: তারেক রহমান
- ০৩:৫৮ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ সমতার পথে নারীর অগ্রযাত্রা: বাধা নয়, সুযোগ চাই
- ০৩:১৭ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিসি ও সচিব এখন নারী
- ০৩:০৫ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ ছন্নছাড়া জীবন ছেড়ে ১৮ বেদে নারীর রূপান্তরের গল্প
- ০২:৫২ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ ৫০০০ নারী কর্মী যুক্ত হবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেলি মার্কেটিংয়ে
- ০২:১৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী উদ্যোক্তা হওয়ার অনুকূল পরিবেশ অনুপস্থিত
- ০১:৫৭ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ জীবন সাজে-ফের চোখের জলে ভাসে
- ০১:১৮ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী দিবস উৎসব নাকি প্রতিবাদ?
- ১২:৫২ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস
- ১২:৪৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারীদের পোশাক নিয়ে কারও বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না: রিজভী
- ১২:৪৩ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করেন ৬৪ শতাংশ নারী
- ১২:৪০ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ ডিজিটাল দুনিয়ায় নারীর অবস্থান
- ১২:৩২ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ যশোরে প্রান্তিক নারীদের দিন বদলের গল্প
- ১২:২৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ মনে হয়নি এলাকার কোনো বড়ভাই আমার দিকে তাকাবেন: ন্যান্সি
- ১২:১৮ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী উদ্যোক্তাদের কল্যাণে নতুন দিগন্ত
- ১২:১৮ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ গুগল ডুডলে স্টেম শিক্ষায় নারীদের অবদান
- ১২:০৫ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ আইন পেশায় এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা
- ১১:২৬ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারীশিল্পীদের পারিশ্রমিক কম, একে আমি বৈষম্য হিসেবে দেখি না
- ১১:০৯ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ রোজা রেখেও রক্ত দিয়েছেন নিগার
- ১০:৪৮ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ বিভিন্ন দেশে যেভাবে পালিত হয় নারী দিবস
- ১০:৪৪ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়া কমছে, নেপথ্যে অত্যাচার-প্রতারণা
- ১০:৩৩ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ তিনবার আত্মহত্যা করতে যাওয়া দোলা এখন সফল উদ্যোক্তা
- ১০:১৫ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ ফেসভ্যালু নয়, আর্টভ্যালুকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত
- ১০:০৭ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ বৈষম্যই নারীমুক্তির প্রধান অন্তরায়
- ১০:০৪ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার গল্প শোনালেন সাদিয়া
- ০৯:৫৯ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারীরা শক্তি, সাহস আর সম্ভাবনার প্রতীক
- ০৯:২৭ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ নারী দিবস: শুধু একদিনের উদযাপন নাকি বছরের প্রতিদিন?
- ০৯:১৮ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ শত শত প্রতিবন্ধীকে স্বাবলম্বী করে চলেছেন ৩৯ ইঞ্চির অদম্য হোসনা
- ০৯:১২ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ কেন, কীভাবে শুরু নারী দিবসের?
- ০৯:০৩ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
- ০৮:৩৯ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫ জুলাই আন্দোলনে শক্তি-প্রেরণা জুগিয়েছেন নারীরা
- ০৯:২৭ পিএম, ০৭ মার্চ ২০২৫ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশেও অদম্য বাংলার নারী
- ০৮:১২ পিএম, ০৭ মার্চ ২০২৫ নারীরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে না, সুযোগ সৃষ্টি করবে
- ০৬:৪৬ পিএম, ০৭ মার্চ ২০২৫ শিক্ষায় এগিয়ে থেকেও চাকরিতে পিছিয়ে নারী
বিজ্ঞাপন