ইতালির বিস্ময়কর গ্রাম রিওম্যাগিওর
ইতালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে। এ কারণে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন ইতালিতে। ইতালির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রর মধ্যে মনোমুগ্ধকর এক এলাকা হলো ‘সিঙ্ক টেরে’।
এই উপকূলীয় আশ্চর্যভূমির মধ্যে, রিওম্যাগিওর গ্রাম হলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় এক স্থান। যেখানকার সৌন্দর্য পর্যটকদের চোখে আরাম দেয় ও সব ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর করে দেয়।
ইতালীয় ভাষা ‘সিন্ক টেরে’র অর্থ হলো ফাইভ ল্যান্ডস। ইতালীয় রিভেরার উপকূলরেখা বরাবর স্থাপিত পাঁচ গ্রাম সিন্ক টেরে নামে পরিচিত। এই গ্রামগুলো হলো- রিওম্যাগিওর, মানারোলা, কর্নিগ্লিয়া, ভার্নাজা ও মন্টেরোসো আল মারে।
একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত সিন্ক টেরে। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গোলাপিরঙা ঘর সবারই নজর কাড়ে। স্থানটি দেখলে মনে হবে, শিল্পী তার মনের সব রংগুলো দিয়ে একটি চিত্রকর্ম এঁকেছেন।
‘সিন্ক টেরে’র সবচেয়ে আকর্ষণীয় গ্রাম হলো রিওম্যাগিওর। সেখানেই আপনি দেখবেন রঙিন সব দালান। যেগুলোর ছবি স্পষ্ট ভেসে ওঠে লিগুরিয়ান সাগরের স্ফটিক-স্বচ্ছ পানিতে।
রিওম্যাগিওর গ্রামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো প্যাস্টেল রঙের বাড়িগুলো। রাস্তাযর পাশে সারিবদ্ধ বাড়িগুলো রিওম্যাগিওরসহ সিঙ্ক টেরের একটি বৈশিষ্ট্য।
রিওম্যাগিওরের ইতিহাস মাছ ধরার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আপনি সেখানে মাছ ধরার নৌকা, জাল ও বিচিত্র জলরাশি ভবনগুলোতে স্থানটির ঐতিহ্যের অবশিষ্টাংশ দেখতে পারেন।
গ্রামটিতে একটি মধ্যযুগীয় দুর্গও আছে, ‘ক্যাস্টলও ডি রিওম্যাগিও’, যেটি ১৩শ শতাব্দীর। সেখান থেকেও আপনি রিওম্যাগিওর গ্রাম ও সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবেন।
হাইকিং ট্রেইল হিসেবেও রিওম্যাগিও। গ্রামটি হাইকারের স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত। বিখ্যাত সেনটেরিও অজ্জুরো বা ব্লু ট্রেইল,সিন্ক টেরের গ্রামগুলোকে সংযুক্ত করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাশ্চর্য উপকূলীয় পর্বতারোহণের সুযোগ পাবেন সেখানে।
ইতালির সব স্থানের মতো রিওম্যাগিওরের স্থানীয় খাবারের স্বাদও আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই গ্রামের রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলোতে আপনি পেয়ে যাবেন সামুদ্রিক সব টাটকা খাবার, পেস্টোসহ আরও নানা ধরনের লোভনীয় খাবার।
রিওম্যাগিওর ভ্রমণে গেলে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী উত্সবগুলোর সাক্ষী হতে পারবেন আপনি। জুনের শেষের দিকে উদযাপিত ‘ফেস্টা ডি সান জিওভান্নি বাতিস্তা’ হলো সেখানকার একটি ঐতিহ্যবাহী উত্সব। যেখানে সমুদ্রে নৌকা মিছিল হয় সঙ্গে আতশবাজির খেলাও চলে সমানতালে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস