ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

এম মাঈন উদ্দিন | থাইল্যান্ড থেকে ফিরে | প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

পর্যটনপ্রধান দেশ থাইল্যান্ডে পা রাখার পরই পর্যটকরা ছুটে যান পাতায়া সমুদ্রসৈকতে। প্রতিদিন বিশ্বের হাজারও পর্যটক ছুটে যান সেখানে। পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে এই পর্যটন শহরে। দিনে তেমন জমজমাট না থাকলেও, রাত হলেই চেহারা বদলে হয় শহরটির। শুধু পাতায়া নয়, এই সমুদ্রসৈকতের আশপাশে আছে আরও বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট।

ব্যাংকক শহর থেকে গাড়িযোগে দুই ঘণ্টার যাত্রাপথও যেন পর্যটন স্পট। সুবিশাল সড়ক, একপাশে সবুজ শ্যামল পাহাড় অন্যপাশে সুবিশাল সব ভবন, যে কারেও নজর কাড়বে। এ সড়কে ঘণ্টায় ১২০-২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি চলে।

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাতায়া সমুদ্রসৈকতে আরেও কয়েকটি স্থানে যেতে পারেন পর্যটকরা। থাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত পাতায়া পর্যটকদের কাছে সমাদৃত একটি সমুদ্রসৈকত। সেখানে সব বয়সের পর্যটকরা ঘুরতে যান। সমুদ্রসৈকতের পাশে রাস্তার ওপর থাকা খাবারের দোকানগুলোতে রাতব্যাপী ভোজসভা চলে।

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

পাতায়ায় নং নুচ বোটানিক্যাল গার্ডেন হতে পারে আপনার প্রশান্তির জায়গা। এখানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসেন প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিতে। সুন্দর অবসর কাটানোর জন্য এই বোটানিক্যাল গার্ডেন উপযুক্ত স্থান। থাইল্যান্ডের অন্যান্য জায়গার মতো পাতায়াতেও ভাসমান মার্কেট আছে। যেখানে প্রতিদিন শাক-সবজি বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাবেন নানা ধরনের ফলের জুসও।

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

এই স্থানে ফ্রা খাও ইয়াই পাহাড় বুদ্ধপাহাড় নামে একটি জায়গা আছে। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি। বুদ্ধপাহাড় থেকে পাতায়া সমুদ্রসৈকত উপভোগ করা যায়। প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হলে ফ্রা খাও ইয়াই পাহাড় থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। খাও চি চ্যান পাহাড়ে বুদ্ধের প্রতিকৃতি আঁকা আছে।

আরও পড়ুন

বুদ্ধের এই প্রতিকৃতি পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। সেখান থেকে ঘুরে এলে মন প্রশান্ত হবে। আনেক কুসালাশালা একটি মিউজিয়াম আছে। এই মিউজিয়ামকে চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মিত্রতার নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়। মিউজিয়ামটিতে আছে তামা ও কাঁসার তৈরি বস্তু।

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

বৌদ্ধ ও তাও ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। মুম আরৌ নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে যেখানে দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। পাতায়া সমুদ্রসৈকত ভ্রমণের সময় যাত্রাবিরতিতে পর্যটকরা এখান থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। এই রেস্তোরাঁর খাবার বেশ সুস্বাদু। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জায়গা এটি।

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

জানা গেছে, বিশ্বের সুন্দরতম সমুদ্রসৈকতগুলোর একটি থাইল্যান্ডের পাতায়া বিচ। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখানে ছুটে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে যা যা প্রয়োজন তার সবটাই আছে এই সৈকতে। এর মধ্যে প্যারাসেলিং, বোটে ঘোরার সুবিধা, সৈকতে যাত্রীযাপন, জেটস্কি ও বোট রাইডিং অন্যতম।

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

হাতের নাগালে সব সুবিধা থাকায় অনেকে এটিকে প্রশান্তির বিচও বলে থাকেন। সৈকতের তীরে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট, ম্যাস্যাজ পার্লার ও আনন্দ বিনোদনের বহু মাত্রিক ড্যান্ড ও নাইট শো-ক্লাব। সবকিছুর মধ্যেও অন্যরকম এক দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে সৈকতের তীর ঘেঁষা নারিকেল গাছের সারি।

কথা হয় সেখানকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী পুরান ঢাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একদিনেই পর্যটনের নগরী হিসেবে গড়ে ওঠেনি পাতায়া। আছে দীর্ঘ ইতিহাস। পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও। এখানে সৈকতে সব ব্যবসাই চলে। তবে পর্যটকদের আনন্দ বিনোদন দেওয়ার ব্যবসাই বেশি।’

যা দেখতে হাজারও পর্যটক ছুটে যান থাইল্যান্ড

তিনি আরও বলেন, ‘রাতে সৈকত শান্ত। দিন হলে শুরু হয় বোট রাইডিং ও জেটেস্কির প্রতিযোগিতা। একেকটি বোট ও জেটেস্কিতে চড়তে লাইন লেগে যায়। ব্যবসায়ীরা সবাই অনুমোদিত। এছাড়া আছে প্যারাসেলিং। একজন প্যারাসেলিং করতে খরচ নেয় ১ হাজার থেকে ১৬০০ বাত। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে খারাপ না, পর্যটকরা আনন্দ পান। ছিনতাই বা ছিঁচকে চোরের ভয় নেই এখানে।

এমএমডি/জেএমএস/এমএস

আরও পড়ুন