৮৫০ রকমের ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে’
চারপাশে সবুজ, তার মাঝে উঁকি দিচ্ছে নানা রঙের ফুল। এই দৃশ্য যে কারও মনকেই দুরন্ত করে তুলতে পারর। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক স্থান হলো ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স। সেখানকার সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করাও কঠিন।
বলছি, ভারতের মহারাষ্ট্রের ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সের কথা। সেখানকার সাতারা শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরেই স্থানটি। প্রায় ৮৫০ রকমের ফুল ফুটে আছে সেখানে।
বর্ষায় সেসব ফুলের রঙিন আভা থেকে যে কারও চোখ ফেরানো দায়। যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই প্রকৃতি ফুলের চাদর বিছিয়ে রেখেছে।
উদ্ভিদবিদদের কাছেও ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সের গুরুত্ব অনেক। তবে সেখানকার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায় সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
জানা যায়, ৮৫০ প্রজাতিরও বেশি ফুল ফোটে সেখানে। স্থানীয়রা জায়গাটিকে কাস পঠার নামেই ডাকেন। বর্ষাতেই সবচেয়ে সুন্দরী হয়ে ওঠে এই কাস। আগস্ট থেকে ফুলগুলো ফুটতে শুরু করে, চলে অক্টোবর পর্যন্ত।
- আরও পড়ুন
- ছুটির দিনে ঘুরে আসুন কুমিল্লার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে
- বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?
এ সময়ের মধ্যেই শুধু পর্যটকরা এই ফুলের রাজ্যে প্রবেশের ছাড়পত্র পান। বছরের ১৫-২০ দিন সবচেয়ে সুন্দর হয়ে ওঠে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স।
কীভাবে বুকিং করবেন?
আপনি চাইলেই এ উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এর জন্য আগে থেকে টিকিট কাটতে হবে। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার পর্যটক সেখানে যাওয়ার অনুমতি পান।
তাই বুকিং করতে হলে কাস মালভূমির নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন। টিকিট মূল্য ১৫০ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০০। তবে গাইডের জন্য লাগে বেশ কিছু টাকা।
আপনি চাইলে সাইকেল ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন রাজমার্গ থেকে কুমুদিনী হ্রদ। সকাল ৭-১১টা, আবার ১১-৩টা, সবশেষে ৩-৬টা পর্যন্ত পর্যটকরা ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে প্রবেশের সুযোগ পান।
কীভাবে পৌঁছাবেন ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে?
মুম্বাই থেকে কাস মালভূমির দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। সেখানে গেলে সাতারাতেই থাকতে পারবেন। আপনি কলকাতা থেকে মুম্বাই অথবা পুণে গিয়ে সেখান থেকেও সাতারা যেতে পারেন। সাতারা যাওয়ার একাধিক ট্রেন আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন।
জেএমএস/জিকেএস