পাহাড়ি যে পথ বেয়ে পৌঁছাবেন সাজেক ভ্যালি
উঁচু-নিঁচু আর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ, দুদিকে অসংখ্য সবুজ পাহাড়। দূর পাহাড়ি গ্রাম দেখে যেনো চোখ জুড়িয়ে যায়। এমনই নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য ঘেরা পাহাড়ি পথ বেয়ে যেতে হয় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে।
দেশ-বিদেশের সবার কাছে পরিচিত এ সাজেক ভ্যালি। প্রতিবছর হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখোর থাকে এই জনপদ। সড়ক দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়ে পাহাড়ি গ্রাম ও পাহাড়ি মানুষের জীবনযাত্রা।
সৌন্দর্য্যে ঘেরা জনপদটি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়ন হলেও এতে যাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি হয়ে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার ও দীঘিনালা থেকে ৪৯ কিলোমিটার। বাঘাইহাট থেকে ৩৪ কিলোমিটার। পুরো পথটাই পাহাড়ি রাস্তা।
সাজেকে ঘুরতে আসা তানিয়া এ্যানি বলেন, পাহাড়ি পথটি অনেক সুন্দর। পুরো পথ জুড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে এসেছি। তবে রাস্তাটি কিছু জায়গায় ভাঙা ও সরু।
যার কারণে ভয় লেগেছে। রাস্তাটি ঠিক করা প্রয়োজন ও এত পর্যটকের গাড়ি আসে যার কারণে সড়কটি আরও বড় করলে সুবিধা হবে।
আরমান খাঁন বলেন, পুরো পাহাড়ি পথটাই অসাধারণ। উঁচু-নিচু রাস্তা, দু’দিকে সবুজে ঘেরা পাহাড় দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। তবে রাস্তা সরু হওয়াতে দুর্ঘটনার সম্ভবনা আছে কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
ঢাকা থেকে আসা ফাইজুল আহমেদ বলেন, রাস্তাটি অসাধারণ রোমাঞ্চকর। তবে ভয় লেগেছে ভীষণ। এত আঁকা-বাঁকা পথ, আমার তো মাথা ঘুরানো শুরু হয়ে গিয়েছিলো। এককথায় দারুণ একটি রাস্তা।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চাইথোয়াই অং চৌধুরী জয় বলেন, পর্যটকদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা হচ্ছে সাজেক। এখানে সারা বছরই প্রচুর পর্যটক আসে। সাজেক আসতে হয় খাগড়াছড়ির দিঘিনালা হয়ে। এ সড়কটি সরু হওয়ায় দুটি গাড়ি পাশাপাশি আসতে পারে না। আমরা আশা করবো স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার এ বিষয়ে নজর দেবে।
জেএমএস/জিকেএস