বৌদ্ধবিহারের শহরে একদিন
বৌদ্ধবিহারের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজারের রামু উপজেলা। এখানে প্রায় দেড় হাজার বছরের প্রাচীন রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারও রয়েছে। শুধু রামুতেই রেঙ্গুনী কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধবিহার। কোনো এক অবসরে ঘুরে আসা যায় এমন বৌদ্ধবিহার থেকে।
যা যা দেখবেন
রামুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে ২৮টি প্রাচীন ক্যাং। এসব পুরাকীর্তির জন্য রামুকে বৌদ্ধবিহারের শহরও বলা হয়। বৌদ্ধবিহার বা ক্যাংয়ে রক্ষিত মূল্যবান বুদ্ধমূর্তি, পিতলের ঘণ্টাসহ কালের সাক্ষী বহু পুরাতন স্মৃতি-মালামাল। প্রায় দেড় হাজার বছরের প্রাচীন রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার, লামারপাড়া ক্যাংসহ এখানকার বেশকিছু পুরাকীর্তি দেখতে প্রতি বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় জমে।
নির্মাণকাল
৩০৮ খ্রিস্টপূর্বে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেন ঐতিহাসিক রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার। এছাড়া প্রায় ২শ’ বছর আগে নির্মিত হয় অন্যান্য স্থাপনা।
বৈশিষ্ট্য
এখানে রয়েছে প্রায় তিনশ’ ফুট উঁচু পাহাড়ের ওপর নির্মিত জাদি। এছাড়া রয়েছে আশ্চর্য হবার মতো বড় বড় দুটি পিতলের ঘণ্টা। পিতলের তৈরি এ ঘণ্টাগুলো দেশের সবচেয়ে বড় ঘণ্টা। এখানে আরও সংরক্ষিত আছে অষ্টধাতু নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি এবং প্রাচীন শিলালিপিসহ ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন। রেঙ্গুনী কারুকাজে তৈরি প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এ বিহারের নির্মাণশৈলীও দারুণ চমৎকার।
যেখানে থাকবেন
কক্সবাজার এবং রামুতে প্রচুর আবাসিক হোটেল রয়েছে। অফ সিজনে সব হোটেলেই থাকে বিভিন্ন রকম মূল্যহ্রাস।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক পথে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর, মতিঝিল ও আরামবাগ থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাস নিয়মিত যাতায়াত করে। ঢাকা থেকে ট্রেনে কক্সবাজার যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাস কক্সবাজারে যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি বিমান চলাচল করে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন এয়ারের বিমানে নিয়মিত কক্সবাজারে যায়। যেভাবেই হোক ঢাকা থেকে কক্সবাজারে গিয়ে নামতে হবে। এরপর কক্সবাজারের কলাতলী থেকে জিপে কিংবা মাইক্রোবাসে রামু যাওয়া যায়।
এসইউ/এমএস