পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না যে গ্রামের সুন্দরী নারীরা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিও ভিন্ন। একেক দেশের রীতি অন্য দেশের কাছে অদ্ভুত বা উদ্ভট বলে মনে হতে পারে। ঠিক তেমনই এক সংস্কৃতি রয়েছে ব্রাজিলের ছোট্ট এক গ্রামে।
যেখানে শুধু নারীদের বাস। আর বেশিরভাগ নারীই অবিবাহিত। তারা শিক্ষিত এমনকি রূপে, গুণে অনন্য হওয়া স্বত্ত্বেও তারা অবিবাহিতই রয়েছেন। কারণ কেউই তাদেরকে বিয়ে করতে রাজি হন না।
বলছি, দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরোর কথা। এ গ্রামে নারীর আধিক্য সবচেয়ে বেশি। ৬০০ নারীর বসবাস এ গ্রামে। তাদের বেশিরভাগই অবিবাহিত। তবে কেন? সুন্দরী হলেও কেন বিয়ে হচ্ছে না তাদের?
যে কয়েকজন নারী বিয়ে করেছেন তারাও এ গ্রামেই আছেন। নোইভা ডো কোরডোইরো গ্রামের সংস্কৃতি হলো নারীরা বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে নয় বরং পুরুষরাই ঘরজামাই হয়ে বউয়ের বাড়িতে ওঠেন।
সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। এরপর আবারও তাকে বেরিয়ে যেতে হয় গ্রাম থেকে। তবে বিভিন্ন উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানে তাদের অবশ্যই আমন্ত্রিত হন।
এ ছাড়াও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজেও স্ত্রীকে সাহায্য করে। তবে সন্তানদের দেখাশুনা থেকে শুরু করে জীবিকা নির্বাহ সবই সামলান ওই গ্রামে নারীরা।
ছেলে সন্তানের বয়স ১৮ বছর বয়স হলে, তাদেরকেও বাইরে পাঠিয়ে দেন মায়েরা। ফলে ক্রমেই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
এ গ্রামের সব নারীরাই সুন্দরী। তা সত্ত্বেও রীতির কারণে কোনো পুরুষই তাদেরকে জীবনসঙ্গী হতে চান না। এ কারণে সুন্দরী হয়েও তারা অবিবাহিত।
গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে, তাও আবার সপ্তাহে দুদিন, এ নিয়ম মেনে আশপাশের এলাকার কোনো পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না।
এর পেছনে এক ইতিহাসও আছে। জানা গেছে, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামের এক নারীকে তারে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর অশান্তির কারণে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরোতে এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন।
আর তখন প্রচলন ঘটে কোনো নারীই বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যেতে পারবেন না। বিয়ের পর স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে নারীদের।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে/মিরর
জেএমএস/জিকেএস