বিস্ময়কর কোকাকোলা হ্রদ!
জনপ্রিয় কোমল পানীয় কোকাকোলা কমবেশি সবাই পান করেন! তবে জানেন কি কোকাকোলা রঙের একটি লেক আছে এই পৃথিবীর বুকে। বিস্ময়কর এই হৃদ দেখতে প্রতিবছর পর্যটকরা ভিড় জমায় ব্রাজিলে।
ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে দেল নর্তেতে অবস্থিত বিস্ময়কর এই হৃদটি। অন্যান্য হৃদের মতো এর পানি স্বচ্ছ নয়। ঠিক কোকাকোলার ন্যায় এই হৃদের পানি। তাইতো পর্যটকদের আকর্ষণের মূলকেন্দ্রে আছে এই হৃদটি। অনেকেই এই হৃদে সাঁতার কাটার স্বপ্ন দেখেন!
কোকাকোলা হৃদ নামে সারাবিশ্বে এটি পরিচিতি পেলেও স্থানীয়রা লেকটিকে ‘লাগোয়া দা আরারাকুয়ারা; নামেই জানেন। এই উপহ্রদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই এর টের পাবেন কোকাকোলা নামকরণের সার্থকতা।
ঠিক কোকাকোলার মতো হলেও; এই হ্রদের পানিতে থাকা উপকরণগুলো ভিন্ন এবং নেই কোনো কার্বোনেশন। ক্যারামেল নয়, বরং আয়রন ও আয়োডিনের সংমিশ্রণ এবং তীরে জন্মানো নলখাগড়ার পিগমেন্টেশন একসঙ্গে মিশে গিয়েই পানির রং কালচে ও বেগুনি হয়েছে।
গরমে এই হ্রদে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। কোকাকোলা উপহ্রদের অগভীর পানি এ সময় বেশ গরম থাকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এ সময় সবাই হৃদের উপকূলে অবসর সময় কাটান। কেউবা পানিতে সাঁতার কাটেন।
এই হৃদের পানির ভিন্ন রং নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় জাগে। অনেকেই মনে করেন, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে পানির রং কোকাকোলার ন্যায় ধারণ করেছে; তা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষয়টি তেমন নয়। কারণ অনেক পর্যটকরাও এই পানিতে গোসল করেন।
ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে দো নর্তে’র দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত কোকাকোলা উপহ্রদটি বর্তমানে সেখানকার জনপ্রিয় এক পর্যটন কেন্দ্র। শিশুরা এই উপহ্রদের নাম শুনে উল্লাসিত হলেও, পানির রং দেখে বড়রা ওই হৃদে সহজে শরীর ভেজাতে চান না।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল/নিউজ১৮
জেএমএস/এমকেএইচ