ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

মোটরসাইকেলে ২৩ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ

ভ্রমণ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২০

ইসরাত জাহান চৈতী

‘নো হেলমেট নো বাইক/স্টে সেইফ সেইফ রাইড’- স্লোগানকে সঙ্গী করে মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে ২৩ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন দুই বন্ধু।

তারা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব হাসান সাজ এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ আল জান্নাত। তাদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

করোনার এ সংকটকালে ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যেই বাল্যকালের দুই বন্ধু দুটি বাইক নিয়ে শুরু করেন সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান। তাদের কাছের এক ভাইয়ের মৃত্যু হয় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। তারা মনে করেন, সেদিন তার মাথায় হেলমেট থাকলে হয়তো বেঁচে যেতেন সে যাত্রায়।

in-(2).jpg

এ ছাড়া বর্তমানে যেমন বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা, এর সাথে সমানুপাতিক হারে বেড়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও। এর অন্যতম একটি কারণ হলো মোটরসাইকেল চালানোর সময় অনেকের মাথায় হেলমেট থাকে না। এমনকি অনেককেই হেলমেট ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণ শিক্ষার্থী শুরু করেন জনসচেতনতামূলক এ প্রচারাভিযান। ৭ অক্টোবর ঝিনাইদহ থেকে যাত্রা শুরু করে যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট হয়ে একে একে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেন। শেষে নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ২৯ অক্টোবর ইতি টানেন সচেতনতামূলক অভিযানের।

প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতো তাদের অভিযান। এ যাত্রায় তারা সঙ্গে নিয়েছিলেন সব ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী। যাত্রাপথে তাদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। পেয়েছেন বহু মানুষের ভালোবাসা। তবে অনেককেই বোঝাতে হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে কিভাবে কার্যকর হতে পারে হেলমেট সচেতনতা।

in-(2).jpg

সজিব হাসান সাজ বলেন, ‘বর্তমানে ট্রাফিক আইনের কড়াকড়ির কারণে অনেকেই সুরক্ষা সামগ্রী ও হেলমেট ব্যবহার করছেন। কিন্তু সবাই সে আইন মেনে চলেন না। তাই সবাইকে সচেতনত করতে আমাদের প্রচারাভিযানটি শুরু করি।’

মাহমুদ আল জান্নাত বলেন, ‘বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথেই বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও। কিন্তু সামান্য সচেতন হয়ে, হেলমেট ব্যবহারের মাধ্যমে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানী অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। এ চিন্তা থেকেই শুরু দুই বন্ধুর কাজটি।’

তারা মনে করেন, তাদের এ প্রচারাভিযান হয়তো কিছুসংখ্যক মানুষকে হেলমেট ব্যবহার করতে উৎসাহিত করবে। যা ছিলো তাদের অভিযানের মূল লক্ষ্য। আশা করা যায়, অদূর ভবিষ্যতে তরুণরা এ ধরনের সচেতনতামূলক কাজে এগিয়ে আসবেন।

লেখক: শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন