হাত বাড়ালেই মেঘ ছোঁয়া যায় যেখানে
সকালে ঘুম ভাঙল কটেজের ব্যালকনি দিয়ে আসা ঠান্ডা হিমেল হাওয়ায়। ঘুম থেকে উঠে ব্যালকনিতে গিয়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না। লেকের ওপর দিয়ে সাদা সাদা মেঘ ভেসে যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছিল, তাদের মাঝে হারিয়ে যাই। লেকে হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হওয়ার পর শুরু হলো নাস্তার পালা।
শিমুল ভাইকে বললাম, ‘ভাই সকালের আইটেম কী আজ?’ ভাই বললেন, ‘মুনথাং দা সিয়াম দিদির দোকানে খিচুড়ির আয়োজন করেছেন।’ মনে মনে বললাম, ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।’ এমন ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি হলে মন্দ হয় না। সিয়াম দিদির হাতের রান্না অসাধারণ।
সিয়াম দিদির সাথে আপনাদের একটু পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এখানকার পরিচিত নাম হলো লাল এং সিয়াম বম। সবাই ‘সিয়াম দিদি’ নামেই চেনে তাকে। আলাপকালে আমি জানতে পেরেছি, ২০০৪ সালের দিকে তিনিই প্রথম কটেজ নির্মাণ করেন। এখন এখানে তার ছয়টি কটেজ। মূলত মাটি থেকে উপরে মাচাং করে বানানো ঘরটিকে এখানে ‘কটেজ’ বলা হয়। তিনি নিজে একটি দোকান চালান। পর্যটকরা তার কটেজে থাকার পাশাপাশি পাবেন খাবারের সুবিধাও। আমরা তার কটেজেই উঠেছিলাম। গতকাল দুপুরে ও আজকের সকালে তার দোকান থেকেই খেয়েছিলাম। সে কী স্বাদ খিচুড়ির। খিচুড়ির সাথে আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, বেগুন ভাজিও ছিল।
খিচুড়ি খাওয়া শেষ করে আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে শুরু হলো হেঁটে কেওক্রাডং যাত্রা। গাইড আমাদের বলেছিলেন, ‘বহনের ব্যাগ যত হালকা হবে; তত তাড়াতাড়ি কেওক্রাডং যাওয়া যাবে।’ আমরা তিন বন্ধুর ৩টা ব্যাগকে দুইটা করে নিয়েছিলাম। যে যতটা পারলো ব্যাগ হালকা করে নিলো। বাকি ব্যাগগুলো সিয়াম দিদির দোকানেই রেখে গেলাম। আমরা বগা লেক থেকে ১১ জন ১১টি লাঠি নিয়ে নিলাম সাথে। লাঠি পাহাড়ের উপরের দিকে ওঠাকে অনেক সহজ করে দেয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় আমরা রওনা দিলাম সেই কেওক্রাডংয়ের পথে। যা কি না বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতা ৩২৩৫ ফুট। একসময় এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ছিল। যদিও আধুনিক গবেষণায় এ তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সাকাহাফং বা মদক তুং। দূর থেকে কেওক্রাডংয়ের চূড়াকে ধোয়াটে মনে হয়। সাদা মেঘে ঢাকা থাকায় এর ঝাপটায় দাঁড়ানো দায়। বৃষ্টি-বাতাস-মেঘ সময় সময় দখল নেয় চূড়ার আশপাশ। বগা লেকের বুকের ওপর দিয়ে যাওয়া রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে থাকলাম। সেই রাস্তার মাথার ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় যেন স্বাগত জানাচ্ছে আমাদের।
কিছুটা পিচঢালা পথ পেরিয়ে আমরা মাটির রাস্তা ধরে এগোতে থাকলাম। যতই ভেতরে যাচ্ছি; ততই বুনো পরিবেশ আমাদের রোমাঞ্চিত করে তুলছে। সারি সারি পাহাড়ের ভাঁজ, কখনো পাহাড়ি গ্রাম, কখনো জুম পাহাড়ের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি আর ভাবছি, শহুরে জীবনে কতটা প্রাণহীন আমি। এক থেকে দেড় ঘণ্টা হাঁটার পর পৌঁছে গেলাম চিংড়ি ঝরনায়। পাহাড়ের বুক বেয়ে নিচে পড়ছে ঝরনার পানি। ছোট-বড় অনেক পাথরের সংস্পর্শে নেমে যাচ্ছে নিচু স্থানে। সেখানে গিয়ে আমাদের মত অনেক ভ্রমণপ্রেমীর দেখাও পেলাম।
সবার ব্যাগ এক সাইডে রেখে আস্তে আস্তে ঝরনার আসল রূপ দেখার জন্য তার উপরের দিকে যেতে থাকলাম। যতই উপরে যাচ্ছি; ততই তার রূপে বিমোহিত হচ্ছি। ঝরনার ঠান্ডা শীতল পানিতে ভেজার সাথে সাথে একটু করে খেয়েও নিলাম। কিছুটা সময় ঝরনায় কাটিয়ে সবাই আবার রওনা দিলাম কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশে। ঝরনায় খানিকটা বিরতি যাত্রাকে আরামদায়ক করে দিলো।
ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানের বইয়ে লেখা দেশের সর্বোচ্চ চূড়া! এখন সে লিস্টে পাঁচ নম্বরে থাকলেও এর রূপ তো আর ক্ষয়ে যায়নি! যাই হোক, হাঁটছি আর পাহাড়ের একপাশে উড়ে বেড়ানো মেঘ দেখছি, ভালোই লাগছে। আমার কাছে এ যেন এক অন্য পৃথিবীতে আসা।
অনেকটা পথ পরপরই বাঁশের তৈরি ছোট ছোট দোকান দেখা যায়। সেখানে পাহাড়ি কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, জাম্বুরা, লেবুর শরবত এবং কলা পাওয়া যায়। হাঁটতে হাঁটতে একটু ক্লান্ত হলেই পাহাড়িদের হাতে তৈরি করা শরবত খেয়ে নিচ্ছি। সাথে সাথে সব ক্লান্তি নিমিষেই হারিয়ে যাচ্ছে। আবার আগের উদ্যমে পথা চলা শুরু।
পাহাড়ি পথ ধরে প্রায় দুই ঘণ্টা হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং পাড়ায়। চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা জায়গার মাঝখানে মূল দার্জিলিং পাড়ার অবস্থান। অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম। পাহাড়ের মাঝখানে গ্রামটি। চারপাশে সবুজের সমারোহ। কিছুটা দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন হাত বাড়ালেই মেঘ ছোঁয়া যাবে। তবে মেঘেরা এখানে বাড়িগুলোর চেয়েও অনেকটা নিচে থাকে। বাংলার এ দার্জিলিং পাড়ার বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা চলে আদা চাষের ওপর। আদা তাদের প্রধান অর্থকরী ফসল।
এখানে দুটি দোকান রয়েছে, যেখানে বিশ্রাম ও যেকোনো বেলার খাবার খেতে পারবেন। আমরা বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি কফি এবং পাহাড়ি কলা খেলাম। দোকানে বসেই কেওক্রাডংয়ের চূড়া দেখা যাচ্ছিল। মনে মনে আর তর সইছিল না। কখন যে পা ফেলবো ওই চূড়ায়। এর মাঝেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। কিছুটা ভেজার পর আবার শুরু হলো আমাদের আসল লক্ষ্যের উদ্দেশে যাত্রা।
হাঁটতে হাঁটতে দেখা পেলাম, মাথার পেছনে ঝোলানো ঝুড়িভর্তি আদা ও কমলা নিয়ে ফেরা জুম চাষিদের। তাদের সঙ্গে গল্প করলাম, কমলা কিনলাম (পিস ১০ টাকা)। আমি তো একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কেওক্রাডংয়ের চূড়ায় কতবার উঠেছেন?’ সহজ, সহাস্য উত্তর, ‘শতাধিকবার!’ আমাদের কাছে হয়তো তার এ উত্তর শুনতে অবাকই লেগেছে। কিন্তু এটাই বাস্তব, এটাই তাদের জীবন সংগ্রামের অংশ।
সবাই দেখি খুব তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করেছে, কারো বুঝি আর তর সইছে না। হাঁটতে হাঁটতে শিমুল ভাই পায়ে হালকা ব্যথা পান। তাকে হালকা ম্যাসাজ করে আবারও হাঁটা শুরু করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ভাই, কেওক্রাডংয়ের মালিক কে?’ তিনি এককথায় উত্তর দিলেন, ‘লামা বম।’
কবি সুনীলের একটা পাহাড় কেনার শখ ছিল। সে শখ হয়তো কারোরই পূরণ হওয়ার নয়। কিন্তু বাংলাদেশেই একজন পাহাড়ের মালিক রয়েছেন। তা-ও আবার যেনতেন পাহাড় নয়, দেশের অন্যতম শীর্ষ চূড়া কেওক্রাডংয়ের মালিক। এ পাহাড়ের আশপাশে ২০ বিঘা জমির মালিক লাল মুন থন। সবার কাছে যিনি পরিচিত লালা বম নামে। কেওক্রাডং চূড়ার শেষপ্রান্তে সরকারিভাবে ১৯৯৩ সালে যে একটুকু সিঁড়ি করা হয়েছে, তার গোড়াতেই লালা বমের কটেজ। কাঠের দোতলা বাড়ি। নিজেরা থাকেন নিচতলায়, ওপরের ঘরটা ভাড়া দেন পর্যটকদের। সবাই এ কটেজের গালভরা নাম দিয়েছে ‘লালা বমের রেস্ট হাউস’। লালা বম, তার স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ ও দুই নাতনি নিয়ে তাদের সংসার।
মাস কয়েক আগে নতুন করে আরও কয়েকটি কটেজ বানিয়েছেন লালা বম। প্রতিটি কটেজে ১২ জনের মতো লোক থাকতে পারে। ঝরনা থেকে নেমে আসা দূরের এক ঝিরিতে পাইপ বসিয়ে মেশিন দিয়ে সরাসরি পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেগুলোতে। ওইরকম একটা কটেজ আমরা এক রাতের জন্য নিয়েছিলাম, কটেজটির নাম ছিল ‘সবুজ কটেজ’।
অবশেষে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বেলা ১টায় উঠে গেলাম কেওক্রাডংয়ের চূড়ায়। কেওক্রাডংয়ে পা রাখাটা হতে পারে আপনার জীবনের অন্যতম সেরা একটি মুহূর্ত। আশপাশে যা দেখবেন, সবকিছু আপনার পায়ের অনেক নিচে। কেওক্রাডংয়ে উঠেই ৫০ টাকায় এক বালতি পানি কিনে গোসল সেরে নিলাম। তারপর আর্মি চেকইন শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
হঠাৎ দেখি আকাশে মেঘ। সবাই তাড়াহুড়ো করে রুমে যেতে না যেতেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। রুমের বারান্দা থেকে সবাই যেন কিছুটা মুহূর্তের জন্য বৃষ্টির মাঝেই হারিয়ে গেলাম। কটেজের বারান্দা থেকে যতদূর চোখ যায়, কেবল সবুজে সবুজে অপরূপ পাহাড়ের সারি। শুভ্র মেঘের ভেলা সেসব পাহাড়ের কোলে পরম আদরে আশ্রয় নিয়েছে।
বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরই আমার চোখ গেল রুমে থাকা কম্বলের দিকে। শিমুল ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এ গরমে কম্বলের কী কাজ?’ তিনি হেসে উত্তর দিলেন, ‘রাতে একজনের দুইটা কম্বল লাগে।’ আমি আর কিছু না বলে রাতের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হওয়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলো। তখন আমি আমার বন্ধু ২ জনকে বললাম, বৃষ্টির পরের বিকেলটা আর পুরো কেওক্রাডং ঘুরে দেখাটা মিস করা যাবে না কোনোভাবেই। যেই কথা সেই কাজ। ৩ জন বেরিয়ে পড়লাম। বাইরে এসে রীতিমত অবাক। আকাশে রংধনু। এত কাছ থেকে রংধনু দেখতে পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।
হাঁটতে হাঁটতে তিন বন্ধু পাহাড়ের চূড়ায় সেনাবাহিনীর স্থাপন করা একটি নামফলক দেখতে পেলাম। তাতে লেখা আছে, উচ্চতা ৩২৩৫ ফুট বা ৯৮৬ মিটার।
পাহাড়প্রেমীরা বলে থাকেন, বান্দরবানের প্রতিটি জায়গারই দুটি রূপ আছে। একটি সূর্যের আলোতে এবং অন্যটি রাতে। রাত নেমে এলে লাল বমের উঠোন মেঘ এসে ভিজিয়ে দিয়ে যায়। আর যদি চাঁদ উঁকি মারে তো মনে হবে, চাঁদের আলো গলে গলে পড়ছে পাহাড় বেয়ে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩২৩৫ ফুট উপরে কাঠের দোতলা ঘরে শুয়ে টিমটিমে প্রদীপের আলোয় মনে হতে পারে। পৃথিবী ছেড়ে কোনো এক অজানা গ্রহে আছি।
পুরো কেওক্রাডং ঘুরে সবশেষে আমরা চলে গেলাম হ্যালিপ্যাডে। সেখানে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় আর্মি ব্রিফিং দেয় ভ্রমণপ্রেমীদের সচেতনতা আর কেওক্রাডংয়ের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে। যা ঘুরতে আসা সবার জন্য শোনা বাধ্যতামূলক। আমরা তিন বন্ধু এবং আমাদের ট্যুরমেটরা ব্রিফিং শুনে আড্ডা দেওয়ার জন্য পাহাড়ের ছাউনিতে চলে যাই।
কেওক্রাডং থেকে কয়েকশ গজ নিচের গ্রাম পাসিংপাড়া এবং দার্জিলিং পাড়া দেখা যাচ্ছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, মেঘের ওপর ভাসছে গ্রামটি। মেঘগুলো যেন পায়ের নিচে ভেসে বেড়াচ্ছে। মেঘ দেখতে দেখতে সন্ধ্যাও নেমে এলো কেওক্রাডংয়ে।
মজার বিষয় হলো, জোঁকের কথা শুনলে ভয় পাবেন না- এমন মানুষ খুব কমই আছেন। আমার পাশে বসে থাকা হিমা কটেজে চলে যাবে। তার খুব ঠান্ডা লাগছে। তখন আমি বললাম, ‘চারপাশের খোলা হাওয়া, এমন তারাভরা আকাশ রেখে কটেজে যাওয়া কি ঠিক হবে?’ বলতে না বলতেই সে তার জামার হাতার ভেতর কী যেন চাপ দিয়ে ধরে আর বলছে, ‘আমি নিশ্চিত জোঁক ধরেছি।’ তার কথা শুনে আমরা সবাই সে কী হাসি। সে আমাদের হাসি থামিয়ে ভয়ে ভয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখতে বলল, ‘আসলে জোঁক কি না?’
আমি মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে দেখলাম, এ তো আসলেই বিশাল এক জোঁক। খুব কষ্টে তার হাত থেকে জোঁক সরিয়ে তাকে অভয় দিয়ে বললাম, ‘জোঁক শরীরের দূষিত রক্ত খায়। সুতরাং এটা কোনো ব্যাপারই না।’ একজন গিয়ে চা নিয়ে এলো লালা বমের দোকান থেকে। চা খেতে খেতে রাতের খাবারের সময় হয়ে এলো। সবাই পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে রাতের খাবার খেয়ে রুমে চলে গেলাম।
রুমে গিয়ে শুরু হয়ে গেল গান আর আড্ডা। কেউ কেউ নাচছিল আর কেউ কেউ মনের সুখে গান গাইছিল। যতই সময় গড়াচ্ছে; ততই শীত বাড়ছে। তখন মনে পড়ে গেল শিমুল ভাইয়ের কথা, ‘একজনের দুইটা কম্বল লাগে।’ আমি আপাতত একটি কম্বল নিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। বন্ধু মিজান এবং বাকিরা জিজ্ঞাসা করলো, ‘মাত্র ১২টা বাজে। এত আগে ঘুমানোর কারণ কী?’ কাল ভোরে সূর্যোদয় দেখতে হবে বলে বন্ধু মিজানসহ বাকিদের শুভ্ররাত্রি জানিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
চলবে...
এসইউ/এএ/এমকেএইচ