পাহাড়-সমুদ্রের ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন হিমছড়ি
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ছিমছড়ি’। হিমছড়ি এমন একটি জাগয়া, যেখানে একবার বেড়াতে না গেলে বোঝাই যাবে না। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটনস্থল। হিমছড়ি থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মজিবর রহমান নাহিদ—
কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি। এখানে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র ও ঝরনার অপূর্ব মিলনমেলা। যা ভ্রমণপিপাসুদের বিমোহিত করে। একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্রসৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। পাদদেশের ইকোপার্ক থেকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৩শ’ ফুটের মতো।
পার্কের গেটে ৩০ টাকা মূল্যের টিকিট কেটে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে একটু কষ্ট হয়। তবে উপরে উঠে একপাশে পাহাড় আর অন্যপাশে সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে হৃদয়টা জুড়িয়ে যাবে। এরকম শান্ত, নীরব ও সুনসান পরিবেশের দর্শনীয় স্থান আমদের দেশে হয়তো আর নেই।
পাহাড় চূড়ার মাঝখানে আছে হিলটপ রিসোর্ট। পাহাড় থেকে নেমে আরেক পাশে রয়েছে ঝরনা। হিমছড়ি পাহাড়ের শীতল পানির ঝরনাটি অসাধারণ। বর্ষাকালে এ ঝর্ণার প্রকৃত রূপ দেখা যায়। কেউ কেউ এ শীতল পানির লোভ সামলাতে না পেরে গোসল করে নিচ্ছেন আনন্দের সাথে।
এখানে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় পাহাড়ি ঝরনা রয়েছে। এসব ঝরনার পানিপ্রবাহ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বার্মিজ মার্কেট। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন। এছাড়া হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতেও ঘুরতে পারবেন।
কীভাবে যাবেন: কক্সবাজার শহর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে হিমছড়ি যাওয়া যায়। হিমছড়ির উদ্দেশে কক্সবাজার সৈকত থেকে সবসময়ই জিপ গাড়ি ছেড়ে যায়। চাইলে বিভিন্ন বাহনে হিমছড়ি যেতে পারবেন। অটো কিংবা সিএনজির ভাড়া পড়বে ১৫০ থেকে ২শ’ টাকা।
কোথায় থাকবেন: হিমছড়িতে বেড়াতে গেলে কক্সবাজার থাকাটাই উত্তম। কারণ কক্সবাজারকে বলা হয় আবাসিক হোটেলের শহর। তাই কক্সবাজার শহরের যে কোন হোটেলে রাত যাপন করা যায়।
লেখক: সভাপতি, বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরাম।
এসইউ/এমকেএইচ