টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিজনেস লাউঞ্জ যেন পাঁচ তারকা হোটেল
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নবনির্মিত সুবিশাল বিমানবন্দরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের দৃষ্টিনন্দন বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জটি বিশ্বের যেকোনো দেশের পাঁচ তারকা হোটেলের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
সুবিশাল জায়গাজুড়ে নির্মিত বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জে বিশ্রাম নেয়ার জন্য একাধিক অত্যাধুনিক স্যুটসরুম, সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার সাপোর্ট, আরাম-আয়েশ করে বিশ্রাম নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সোফাসেট রয়েছে।
অপেক্ষমাণ ভিআইপি যাত্রীদের জন্য রয়েছে হরেক নামের ও স্বাদের রুটি কাবাব, মাছ, মাংস, স্যুপ, সালাত, কোল্ড ড্রিঙ্কস, হট ড্রিঙ্কস, মিষ্টান্ন, চা ও কফি। কতশত তরতাজা খাবার যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। এছাড়া শিশুদের জন্য রয়েছে পৃথক কিডস জোন। বিজনেস ক্লাসে আগত যাত্রীদের ক্ষুদে শিশুদের বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হওয়ার আগে লাউঞ্জে বসে আনন্দচিত্তে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
নবনির্মিত এ লাউঞ্জের চারপাশে আধুনিক নান্দনিকতার ছোঁয়া। হ্যান্ড লাগেজ সংরক্ষণের জন্য রয়েছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ছোট ছোট আলমারি। যাত্রীদের অত্যাধুনিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে বারবার তুরস্কে ফেরানোর পরিবেশ বজায় রাখতে তাদের যত আয়োজন।
মঙ্গলবার জাগো নিউজের প্রতিবেদক টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আমন্ত্রণে তিন দিনের মিডিয়া ট্যুর শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্স পরিদর্শনকালে এ দৃশ্য দেখতে পান।
বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেতেও রয়েছে প্রিভিলেজ গেট ব্যবহারের সুবিধা। যাত্রীরা ঝামেলা ছাড়া খুব সহজেই তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহের সময় তাদেরকে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের জন্য বোর্ডিং কার্ডেই মধ্যেই একটা বারকোড দেয়া হয়। ওই বারকোড লাউঞ্জে প্রবেশের আগে ইলেকট্রনিক মেশিনে যেতে দেখিয়ে তবেই লাউঞ্জে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়।
দূর-দূরান্তের ট্রানজিট ভিআইপি যাত্রীদের জন্য রয়েছে হোটেলের মতো সুসজ্জিত কক্ষ। কম্পাউন্ডের মধ্যেই নামিদামি হোটেলের মতো শোরুম। লাউঞ্জে প্রবেশের পর কনসিয়ার্স কাউন্টার থেকে পাসওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিজনেস ক্লাস লাউঞ্জে সর্বত্রই নান্দনিকতার ছোঁয়া। বিভিন্ন স্পটে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু টাটকা খাবার রান্না করা হচ্ছে। লাউঞ্জে শতাধিক যাত্রী থাকলেও উচ্চস্বরে কেউ কথা বলছে না। যে যার মতো করে ঘুরেফিরে পছন্দের খাবার তুলে নিচ্ছে। শিশুরাও মনের আনন্দে তাদের মতো করে ফেলছে। বিজনেস লালন যে আনন্দময় সময় কাটিয়ে ফ্লাইটের সময় হলে যাত্রীরা ছুটে চলেন।
এমইউ/বিএ