ভ্রমণে যেসব সুফল পাবেন
আমাদের চারপাশেই শেখার অনেক কিছু রয়েছে। শুধু চোখটা খুলে রাখতে হয়। ভ্রমণ করলেও সুফল পাওয়া যায়। শুধু দেখার মতো চোখ থাকতে হয়। ঘুরতে গিয়ে শুধু ছবি তুলেই ফিরে আসবেন না। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখতেও চেষ্টা করুন। তাহলেই ভ্রমণে আপনার জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।
উদ্বেগ কমে: শিক্ষা জীবন বা পেশা জীবনে মানসিক চাপ আর উদ্বেগ ঝেরে ফেলতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ভ্রমণপিপাসু হতে হবে। যত পথ পাড়ি দিবেন; মনের মধ্যে জমে থাকা চাপ, বিষণ্নতা কমে যেতে থাকবে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকবে সামাজিক দক্ষতা।
মেলামেশা হয়: ভ্রমণ মানেই নানা রকম মানুষের সঙ্গে মেলামেশা। তাই পাশে বসা মানুষটির সঙ্গে আলাপ জমাতে অসুবিধা কী? এতে আপনার সামাজিক দক্ষতা বাড়বে। যারা নতুন পরিবেশে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন, তাদের জন্য ভ্রমণ হতে পারে ভালো সমাধান।
> আরও পড়ুন- ভ্রমণ নিয়ে বিদেশি যতো বই
আত্মবিশ্বাস বাড়ে: অনেকে ভাবেন, বাড়তি সময়টা বাড়ির কাজে ব্যয় করলে সময়ের সদ্ব্যবহার করা হয়। তবে প্রাত্যহিক জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে কিছুটা মুক্ত জীবনের স্বাদ নিতে ভ্রমণ খুবই জরুরি। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে নিজের চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে আনতে ভ্রমণ কাজে লাগতে পারে।
ইতিবাচক প্রভাব: ভ্রমণে কী কী সঙ্গে নেবেন তার তালিকা তৈরি বা ভ্রমণে গিয়ে কীভাবে সময় কাটাবেন, তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে মনে এক নতুন উদ্দেশ্য তৈরি হবে। নিজের এই লক্ষ্য পূরণ করার সাফল্য আপনাকে যে আত্মবিশ্বাস এনে দেবে, তা আপনার অন্যান্য কাজের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা: কখনো কখনো গন্তব্যের উদ্দেশে বের হওয়ার পর দেখবেন টিকিট ভুলে রেখে এসেছেন। কখনো খারাপ আবহাওয়ার কারণে বের হতে পারছেন না বা যাত্রা বাতিল করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মোটেও হতাশ হবেন না। একটু চেষ্টা করলে বিকল্প খুঁজে নিতে পারবেন। এরকম কাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে মনটাও নমনীয় হয়ে উঠবে। ভ্রমণ শেষেও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে।
> আরও পড়ুন- ঘুরতে গেলে যা যা দরকার
ধৈর্য বাড়ে: ভ্রমণে বের হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় প্রয়োজন অনুযায়ী অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এই অপেক্ষার বিষয়টি আপনার ধৈর্য আরও বাড়িয়ে দেবে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে জীবনকে উপভোগ করবেন ভ্রমণের মাধ্যমে তা শিখতে পারবেন।
এসইউ/আরআইপি