পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি
গ্রামের নাম সাহেবগঞ্জ। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম। এখানে রয়েছে নীলকরদের আবাসস্থল ‘নীলকুঠি’। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। ঘুরে এসে লিখেছেন রিফাত কান্তি সেন-
সারা দেশের মতো চাঁদপুরে নীল চাষের আস্তানা গড়েছিল ফিরিঙ্গি-ওলন্দাজ বণিকরা। ফরিদগঞ্জে যতগুলো ইতিহাসসমৃদ্ধ স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সাহেবগঞ্জের নীলকুঠি। ফিরিঙ্গি-ওলন্দাজ বণিকের রেখে যাওয়া স্থাপত্যশৈলী এখন দর্শনার্থীদের একটু হলেও বিনোদন দিতে পেরেছে।
নীল চাষ করতে বাংলার মাটিতে এসে যে স্থাপত্যশৈলী তারা গড়েছিল, তা এখন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নীল চাষের উদ্দেশে তারা এখানে জমিদারি কায়দায় স্থাপত্যশৈলী নির্মাণ করেছিলেন। সেগুলোর বেশিরভাগই এখন টিকে নেই। যেগুলো রয়েছে, সেগুলোরও এখন জীর্ণদশা! লতা-পাতা মোড়ানো স্থাপত্যশৈলীগুলো যেন অযত্ন আর অবহেলায় বিলীন হতে চলেছে।
এখানে দেখার মতো কয়েকটি পুরনো ভবন রয়েছে। রয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। তবে অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে নিদর্শনটি। কিছুদিন আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ পাবে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, লুই বোর্নাড নামের এক বণিকের মাধ্যমে এদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে নীল চাষ ও এর ব্যবহারের প্রচলন ঘটে। ১৭৭৭ সালে আমেরিকা থেকে নীল বীজ ও আধুনিক চাষের পদ্ধতি এদেশে তিনি নিয়ে আসেন। নদীয়া, যশোর, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, মালদাহ, ফরিদপুর, বরিশাল, চাঁদপুরসহ বেশকয়েকটি জেলায় তারা অসংখ্য নীলকুঠি গড়ে তোলে।
এসইউ/আরআইপি