দেখে আসুন জাপানের বাগানবিলাস
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের বরাবরই আকর্ষিত করে। সেই রূপ দেখতে আমরা কখনো কখনো ছুটে যাই দেশের বাইরে। কেননা পৃথিবীতে বেশকিছু বিখ্যাত এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত বাগানবিলাস রয়েছে। আসুন আজ জেনে নেই জাপানের কানাজোয়ায় অবস্থিত বাগানবিলাস কেনরোকুয়্যেন সম্পর্কে-
কেনরোকুয়্যেন কী
জাপানের কানাজোয়া শহরে অবস্থিত একটি বাগান। ‘কেনরোকুয়্যেন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে- ছয়টি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বাগান। যেটি পৃথিবীর অসাধারণ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বাগানগুলোর অন্যতম।
অবস্থান
প্রায় ১১.৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ বাগানের মালিক বা রক্ষণাবেক্ষণকারী মায়েদা পরিবার। ১৬২০ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৮৪০ সাল পর্যন্ত এর প্রস্তুতির কাজ চলতে থাকে। মাতসুদাইরা সাদানবু এই বাগানের নামকরণ করেন।
> আরও পড়ুন- হানিমুনে কোথায় যাবেন
বৈশিষ্ট্য
একটি আদর্শ বাগানের ৬টি বৈশিষ্ট্যের সবগুলোই আছে এর মধ্যে। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো প্রশস্ততা, নির্মাণকৌশল, নির্জনতা, প্রাচীনত্ব, জলপথ এবং বিস্তৃত দৃশ্য।
যা দেখবেন
এখানে রয়েছে ৮,৭৫০ টিরও বেশি গাছ এবং প্রায় ১৮৩ প্রজাতির উদ্ভিদ। বাগানের ভেতরে ১৭৭৪ সালে নির্মিত একটি টি-হাউজ রয়েছে, যেটি এ বাগানের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি। রয়েছে একটি রেস্ট হাউজ, যেটি সংস্কার করা হয়েছে ২০০০ সালে। রয়েছে বিশাল কৃত্রিম পুকুর, যা ‘কাসুমিগাইকে’ নামে পরিচিত। পুকুরটিকে সাগরের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
প্রতীক
বাগানে রয়েছে জাপানিজ বাদ্যযন্ত্র ‘কোতো’র আকৃতির একটি পাথরের লণ্ঠন, যেটি এখন বাগানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অসাধারণ একটি পানির ফোয়ারা রয়েছে, যাতে প্রাকৃতিক পানির প্রেসার ব্যবহৃত হয়েছে।
> আরও পড়ুন- ভালোবাসার তাজমহলে বিমোহিত পর্যটকরা
কখন যাবেন
পাম এবং চেরির প্রস্ফুটিত দৃশ্য দেখতে চাইলে বসন্তকালে যাবেন। আর রং-বেরঙের পাতাবাহার দেখতে চাইলে শরতকাল উপযুক্ত সময়। তবে ভিন্নমাত্রায় দেখতে চাইলে শীতকালে যাবেন। কেননা শীতকালে বাগানের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলে ‘ইউকিতসুরি’ নামক দড়ির অভিনব ব্যবহার। যা গাছপালাকে ভারি তুষারপাত থেকে রক্ষা করে। এ দৃশ্য দেখতে পাবেন প্রতিবছরের ১-৩১ নভেম্বর পর্যন্ত।
এসইউ/আইআই