বাংলাদেশে ভ্রমণের আকর্ষণীয় কিছু স্থান : শেষ পর্ব
বাংলাদেশ রূপবৈচিত্রে অনন্য একটি দেশ। এ দেশে রয়েছে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, নিদর্শন এবং স্থাপনাসহ আকর্ষণীয় অনেক স্থান। এসব স্থান পর্যটকদের মুহূর্তেই আকৃষ্ট করে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে এসব স্থান সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা ভালো। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণের আকর্ষণীয় কিছু স্থানের শেষ পর্ব দেখুন আজ-
সোনারগাঁও
প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম থেকেই সোনারগাঁও নামের জন্ম। ১৬১০ সালে ঢাকা নগরের অভ্যুদয়ের আগ পর্যন্ত সোনারগাঁও ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের প্রশাসনিক রাজধানী। এখানকার প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- খাসনগর দীঘি, দুলালপুরের নীলকুঠি, গোয়ালদি শাহী মসজিদ, আমিনপুর মঠ, দামোদরদি মঠ, পানাম নগরের ভবন, বড় সরদার বাড়ি উল্লেখ্য।
ষাট গম্বুজ মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। খান জাহানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যকীর্তি এটি। মসজিদটি তিনি ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের কিছু আগে নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে এটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মসজিদটিতে মূলত একাশিটি গম্বুজ আছে।
লালবাগ কেল্লা
লালবাগ কেল্লা পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত। কেল্লাটি মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ছেলে শাহজাদা আজাদ ১৬৭৮ সালে নির্মাণ শুরু করেছিলেন। পরে শায়েস্তা খান ১৬৮৪ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এর ভেতরে পরীবিবির সমাধি, দরবার হল ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে।
ঢাকেশ্বরী মন্দির
ঢাকেশ্বরী মন্দির পুরান ঢাকার প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের জঙ্গলে দেবী দুর্গার একটি মূর্তি পেয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করে সেটিকে সেখানে স্থাপন করেন। এর নাম দেন ঢাকেশ্বরী মন্দির।
ভাসমান বাজার
ঝালকাঠী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলি গ্রামের কৃত্তিপাশা খালে শতবর্ষের পুরনো ভাসমান বাজার। সারা বছরই এ হাট বসলেও পেয়ারা ও আমড়ার মৌসুমে জমজমাট থাকে। সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে এ হাট।
এসইউ/পিআর