বাংলাদেশে ভ্রমণের আকর্ষণীয় কিছু স্থান : দ্বিতীয় পর্ব
বাংলাদেশ রূপবৈচিত্রে অনন্য একটি দেশ। এ দেশে রয়েছে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, নিদর্শন এবং স্থাপনাসহ আকর্ষণীয় অনেক স্থান। এসব স্থান পর্যটকদের মুহূর্তেই আকৃষ্ট করে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে এসব স্থান সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা ভালো। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণের আকর্ষণীয় কিছু স্থানের দ্বিতীয় পর্ব দেখুন আজ-
নীলগিরি
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এখান থেকে পর্যটকরা আকাশের মেঘকেও ছুঁতে পারেন। এতে কয়েকটি রিসোর্টও রয়েছে।
নীলাচল
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রটিও বান্দরবানে অবস্থিত। শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড় চূড়ায় রয়েছে নীলাচল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে পর্যটন কেন্দ্রটি। এখানে মেঘের লুকোচুরি দেখা যায়। নীলাচল থেকে বান্দরবান শহরও দেখা যায়।
সাজেক ভ্যালি
‘রাঙ্গামাটির ছাদ’ খ্যাত সাজেক ভ্যালি রাঙামাটিতে অবস্থিত। সাজেক ভ্যালির অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যাতায়াতের সহজ পথ খাগড়াছড়ি হয়ে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে। আশপাশের গ্রামগুলোতে লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের বসবাস। কমলা ও কফি চাষের জন্য বিখ্যাত সাজেক ভ্যালি।
বিছনাকান্দি
বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রটি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা এলাকায় অবস্থিত। এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। পাথর বিছানো পথের উপরে বয়ে চলা পাহাড়ি ঝরনা এর মূল আকর্ষণ৷
সুন্দরবন
সুন্দরবনের আয়তন বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার। বনটি ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানে বিপন্ন বাঘের নিরাপদ আবাস। রয়েছে হরিণসহ আরো জন্তু-জানোয়ার। তাই পর্যটকদের কাছেও জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়।
এসইউ/জেআইএম