বাংলাদেশে ভ্রমণের আকর্ষণীয় কিছু স্থান : প্রথম পর্ব
বাংলাদেশ রূপবৈচিত্রে অনন্য একটি দেশ। এ দেশে রয়েছে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, নিদর্শন এবং স্থাপনাসহ আকর্ষণীয় অনেক স্থান। এসব স্থান পর্যটকদের মুহূর্তেই আকৃষ্ট করে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে এসব স্থান সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা ভালো। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণের আকর্ষণীয় কিছু স্থানের প্রথম পর্ব দেখুন আজ-
কক্সবাজার
কক্সবাজার শুধু বাংলাদেশের নয়; পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। যা প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত এটি। কক্সবাজারকে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানীও বলা হয়। এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মানের হোটেল-রিসোর্ট। তাই নিশ্চিন্তে ঘুরতে যেতে পারেন কক্সবাজারে।
সেন্টমার্টিন
‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ খ্যাত সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। টেকনাফ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে জেগে উঠেছে দ্বীপটি। যার আয়তন প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার। এর সৈকতজুড়ে প্রবাল পাথর, নারিকেল গাছ, নীল জলরাশি আর স্থানীয়দের বিচিত্র জীবন খুব আকর্ষণীয়। এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস।
কুয়াকাটা
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত পটুয়াখালী জেলার শেষপ্রান্তে অবস্থিত। একে ‘সাগরকন্যা’ও বলা হয়। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। এর পাশেই রয়েছে ফাতরার বন এবং শুঁটকি পল্লি।
টেকনাফ
বাংলাদেশে যে কয়টি সমুদ্রসৈকত রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে নিরিবিলি ও পরিচ্ছন্ন সমুদ্রসৈকত হচ্ছে টেকনাফ। তাই নির্জনে ভ্রমণ করতে চাইলে চলে আসতে পারেন টেকনাফে। যারা নিরিবিলি অবকাশ যাপন পছন্দ করেন, তাদের জন্য উত্তম স্থান এটি।
কাপ্তাই হ্রদ
রাঙ্গামাটির অন্যতম ভ্রমণ স্থান কাপ্তাই হ্রদ। যা পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে প্রায় ১ হাজার ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই হ্রদের ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এখানে নৌকা ভ্রমণও আপনাকে দারুণ আনন্দ দেবে।
এসইউ/পিআর