ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

সবাই মুগ্ধ গুঠিয়া মসজিদের সৌন্দর্যে

মামুনূর রহমান হৃদয় | প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরিশালের গুঠিয়ায় অবস্থিত বায়তুল আমান জামে মসজিদ, রাতের আলোকসজ্জায় যেন অন্য এক মায়াবী রূপ ধারণ করে। দিনের আলোতে যেমন এর সাদা মার্বেল ও কারুকাজ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তেমনই রাতে আলোর ঝলকানি এই মসজিদকে আরও মোহনীয় করে তোলে। চারপাশের এলাকা সম্পূর্ণ আলোকিত হয়ে ওঠে, যার প্রতিফলন পুকুরের পানিতে সৃষ্টি করে এক অপরূপ দৃশ্য।

রাতে মসজিদের চারপাশে থাকা উজ্জ্বল আলো যখন এর মসজিদটির মিনার, গম্বুজ ও প্রবেশপথকে আলোকিত করে, তখন এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের জন্ম হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে যখন আলো ও চাঁদের আলো মিলেমিশে যায়, তখন মসজিদের সৌন্দর্য এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছায়।

সবাই মুগ্ধ গুঠিয়া মসজিদের সৌন্দর্যে

মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা বাগানগুলোও আলোকিত হয় মসজিদের আলোয়। যা রাতে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি করে। পুকুরের মাঝ বরাবর তাকালে মনে হবে, এক স্বপ্নময় জগতে প্রবেশ করেছেন। মসজিদের দৃষ্টিনন্দন এই আলোকসজ্জা নামাজিদের ও দূর থেকে আগত দর্শনার্থীদের মনকে প্রশান্তি দেয়।

নামাজের সময় বায়তুল আমান জামে মসজিদে প্রবেশ করলে যেন একটি অন্যরকম অনুভূতি ছুঁয়ে যায়। মসজিদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, চারপাশের আলো ও মিনারের উঁচ্চতা আধ্যাত্মিক এক আবহ সৃষ্টি করে। যখন মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে নামাজে দাঁড়ায়, তাদের মধ্যে অদ্ভুত এক সম্প্রীতি লক্ষ্য করা যায়। সবার হৃদয়ে একটাই উদ্দেশ্য, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।

সবাই মুগ্ধ গুঠিয়া মসজিদের সৌন্দর্যে

প্রস্তুতি হিসেবে যখন সিজদায় মাথা নত করা হয়, তখন মনে হয় সব দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ মুছে যাচ্ছে। ফজরের নামাজের সময় আলোর প্রথম রশ্মি যখন মসজিদের দেয়ালে পড়ে, তখন মনে হবে যেন সৃষ্টির প্রতি নতুন করে চোখ খুলছে।

সবাই মুগ্ধ গুঠিয়া মসজিদের সৌন্দর্যে

নামাজের প্রতিটি রাকাতে ধ্যানের গভীরতায়, মুসল্লিরা এক মানসিক শান্তি অনুভব করেন। নামাজ শেষে আল্লাহর রহমত লাভের আশা নিয়ে যখন মুসল্লিরা বের হন, তখন হৃদয়ে আলোর এক নতুন প্রভা জাগ্রত হয়।

অনেক ভ্রমণপিপাসুরা রাতে মসজিদটির অনন্য আলোকসজ্জা দেখতে আসেন। ইলেকট্রিক লাইটগুলোর সজ্জা মসজিদের প্রতিটি অংশকে আলাদা করে তুলে ধরে। এটি শুধু ধর্মীয় অনুভূতির জায়গা নয় বরং একটি স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন ও সৌন্দর্যপিপাসুদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ায়।

সবাই মুগ্ধ গুঠিয়া মসজিদের সৌন্দর্যে

রাতের নীরব পরিবেশে, যখন আলোর খেলা মসজিদের গঠনশৈলীতে ছাপ ফেলে, তখন যেন প্রতিটি অংশ জীবন্ত হয়ে ওঠে। রাতের সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ জন্ম দেয় এক অনন্য অভিজ্ঞতার।

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন