দুবাই ভ্রমণে বিপদ এড়াতে যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
দুবাইয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বুর্জ খলিফা অন্যতম, বিশ্বের সব পর্যটককেই আকৃষ্ট করে আকাশচুম্বী বুর্জ খলিফা। এছাড়া সেখানে দর্শনীয় অনেক স্থান আছে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
যারা এরই মধ্যে দুবাই ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন সঙ্গীকে নিয়ে, তাদের উচিত সেখানে যাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা। না হলে বিপদে পড়তে পারেন।
এমনকি জেল-জরিমানাও হতে পারে। দুবাই ভ্রমণে বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয় পর্যটকদের। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সঙ্গীকে নিয়ে দুবাই ভ্রমণে বিপদ এড়াতে কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-
জনসম্মুখে ঘনিষ্ঠ হবেন না
দুবাই রক্ষণশীল দেশ হওয়ায় সেখানে পাবলিক প্লেসে ঘনিষ্ঠভাবে সঙ্গীর হাত ধরা, জড়িয়ে ধরা বা চুম্বন করা সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের কাজে লিপ্ত হলে জেলেও যেতে পারেন।
দুবাইতে উচ্চস্বরে গান করা বা বাজনা বাজানো, প্রকাশ্যে নাচ, চেঁচামেচি ও অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা স্থানীয়রা ভালোভাবে দেখেন না। এসব ভুলে অনেক পর্যটকের জেল পর্যন্তও হয়।
অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করবেন না
দুবাইয়ে থাকাকালীন ভাষা ব্যবহারের দিকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে জনসমক্ষে বা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় অশ্লীল ভাষার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন। দুবাইতে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাম হাতে শুভেচ্ছা বা ইশারা জানাবেন না
দুবাই ভ্রমণে গিয়ে হাত ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। আর যা ই করুন না কেন বাম হাত দিয়ে কাউকে ইশারা বা শুভেচ্ছা জানাবেন না।
দুবাইতে বাম হাত ব্যবহার অসম্মানজনক বলে বিবেচনা করা হয়। টয়লেট, টয়লেট পেপার, ফ্লাশিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে দুবাইতে বাম হাত ব্যবহার করা হয়।
ছোট পোশাক পরবেন না
দুবাইয়ের শপিংমল, বাজার, সমুদ্রসৈকত, থিয়েটার, মসজিদ ইত্যাদি স্থানে নারীদের শালীন পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। সেখানে ছোটো, আঁটসাঁট ও শরীরের অংশ প্রদর্শনকারী পোশাক পরার অনুমতি নেই।
অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না
দুবাইয়ে গিয়ে কারও অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না। সেখানে প্রকৃতির ছবি ক্লিক করার সময়ও অনুমতি নিতে হবে। এ ব্যাপারে ট্যুর গাইডদের জিজ্ঞেস করতে পারেন। এছাড়া ছবি তোলার ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখার নিয়ম আছে।
ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রেও নীতি মানুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি অত্যন্ত কঠোর অ্যান্টি-ড্রাগ নীতি আছে। এর অর্থ হলো, কোন কোন ওষুধ নিয়ে দুবাইতে যেতে পারবেন ও কী কী নিতে পারবেন না। ওই দেশে কিন্তু অ্যান্টি-অ্যাংজাইটির ওষুধও অনুমোদিত নয়।
বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় এ জাতীয় ওষুধ সঙ্গে থাকলে নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে আপনার চার বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। অনুমোদিত ওষুধগুলো সম্পর্কে ইউএই’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট দেখে নিন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম