আকিলপুর সমুদ্রসৈকতে মুগ্ধ পর্যটকরা
যতদূর চোখ যায় গহীন জলরাশি ছুঁই ছুঁই সুনীল আকাশ। উত্তাল ঢেউয়ের তালে দুলে চলছে নৌকা। দিগন্তবিস্তৃত উদার সাগরের দিকে তাকিয়ে থাকলে মুহূর্তেই বিমোহিত হবেন আপনি। ভাবুন বঙ্গোপসাগরে মাঝখানে আপনি, আর আপনাকে নিয়েই এমন দৃশ্য-কেমন লাগবে?
নৌকায় বসে মনের সুখে গাইতে পারেন গান, ওরে..নীল দরিয়া! সাগর, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও নির্জন প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন ঠিক এক জায়গায়, আকিলপুর সমুদ্রসৈকতে।
চট্টগ্রাম শহরে যে কয়েকটি সুন্দর সৈকত আছে, তার মধ্যে সৌন্দর্যের দিক থেকে আকিলপুর সমুদ্রসৈকত অন্যতম। এর নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের কারণেই ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ সৈকত বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিকেলে পর্যটকরা ভিড় করেন।
পাথরের ওপর পা মেলে দিয়ে ঢেউয়ের শব্দ শুনতে পারবেন। সাগরের বুক থেকে নোনতা হাওয়া এসে আপনার চুল এলোমেলো করে দেবে। খালি পায়ে সৈকতে হেঁটে কিছু শামুক-ঝিনুকও কুড়াতে পারবেন। চাইলে ফুটবল, ভলিবলও খেলতে পারবেন। শিশুরা স্যান্ডক্যাসল বানিয়েও খেলতে পারবে।
আরও পড়ুন
কীভাবে পৌঁছাবেন আকিলপুর সমুদ্রসৈকতে?
দেশের যে কোনো প্রান্তথেকে থেকে সীতাকুন্ড উপজেলার ছোট কুমিরা বাজার কিংবা বাশঁবাড়িয়া বাজারে নেমে যে কেউ চলে যেতে পারেন সৈকতের তীরে।
বাশঁবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত থেকে সোজা বেড়িবাঁধ ধরে দক্ষিণ দিকে এক কিলোমিটার এগিয়ে গেলে আকিলপুর সমুদ্রসৈকতের দেখা মিলবে।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন?
সীতাকুন্ডে পর্যটকদের থাকার ও ভালো রেস্টুরেন্ট খাওয়ারও ব্যবস্থা আছে। তবে চাইলে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতে চলে যেতে পারেন চট্টগ্রাম শহরে।
একেখান ও অলংকারে পাবেন যে কোনো মানের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট। থাকা-খাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন মান ও দামের আবাসিক হোটেল-মোটেলের সুব্যবস্থা আছে।
বাশঁবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত ও আকিলপুর সমুদ্রসৈকত দুটি বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। অন্যভাবে ও যাওয়া যায়।
ছোট কুমিরা বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার ভিতরে এগিয়ে গেলে নীমতলা গ্রামের পাশে এই আকিলপুর সমুদ্রসৈকত। কুমিরা বাজার দিয়ে যাওয়া হয় বলে অনেকে এই সৈকতকে কুমিরাসৈকত নামেও চেনেন।
জেএমএস/এমএস