একদিনে ভ্রমণের জন্য সেরা এক গন্তব্য ‘মুছাপুর ক্লোজার’
কর্মব্যস্ত জীবনে একটু ফুরসত মিলতেই অবসর কাটানোর জন্য নিরিবিলি স্থানের খোঁজ করেন সবাই। এজন্য আশপাশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে একদিনের ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ খোঁজেন অনেকেই। তাদের জন্য সেরা এক গন্তব্য হলো ‘মুছাপুর ক্লোজার’।
মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রথম দেখাতে মনে হবে এটি একটি সৈকত। আসলে সেখানে গেলেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ।
এ কারণে একে ‘মিনি কক্সবাজারও’ বলা হয়। আবার অনেকে মুছাপুর সমুদ্রসৈকত হিসেবেও চেনেন স্থানটি। ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার। মুছাপুর নদীর তীরে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্লোজার।
মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় চরের মধ্যে দক্ষিণ মুছাপুর মৌজায় ৮২১.৫৭ একর, চরবালুয়া (দিয়ারা) মৌজায় ১৮৬১.১০ একর ও চরবালুয়া মৌজায় ৬শ দশমিক ১৫ একর সর্ব মোট ৩২৮২.৮২ একর বনবিভাগের জমি জুড়ে মনোরম বনাঞ্চল আছে।
এর মধ্যে মুছাপুর ফরেস্ট বাগানটি অন্যতম। এই ফরেস্ট বাগানে আছে ঝাউ, কেওড়া, পিটালী, খেজুর, লতাবল, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ।
আরও পড়ুন
নদীতে যখন জোয়ারের পানি উতলে উঠে, তখন ভিন্ন এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয় মুছাপুর ক্লোজারের এই ফেনী নদীতে। কয়েক কিলোমিটার প্রস্থের এই ক্লোজারের যে কোনো জায়গায় দাঁড়ালেই আপনি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।
এর আশপাশের সবুজ প্রকৃতি, গ্রামীণ পরিবেশ, পাখির কোলাহল ও মৎস্যজীবীদের জীবনাচরণ সবাইকে মুগ্ধ করবে। এছাড়া ট্রলারে কিংবা স্পীডবোটে করে ঘুরতেও পারবেন। সেখানে এখনো নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, দর্শনার্থীদের দিনে দিনেই ফিরে আসতে হয়।
এছাড়া হাতে সময় নিয়ে গেলে ঘুরে আসতে পারেন ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক, বজরা শাহী মসজিদ কিংবা নিঝুম দ্বীপ থেকে। আর অবশ্যই নোয়াখালী গেলে সেখানকার বিখ্যাত নারকেলের নাড়ু, ম্যারা ও খোলাজা পিঠার স্বাদ নিয়ে আসবেন।
কীভাবে যাবেন?
প্রথমে ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে নোয়াখালী যেতে হবে। নোয়াখালী জেলা শহর থেকে যে কোনো গাড়িতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট বাজারে যেতে হবে।
বসুরহাট থেকে যাতায়াতে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত ২-৩টি পাকা সড়ক আছে। ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা হয়েও আসতে পারেন এই মুছাপুর ক্লোজারে।
জেএমএস/জেআইএম