সিকিমের চুংথাং ভ্রমণে যা যা দেখবেন
লাচুং-ইয়ুমথাং-লাচেন-গুরুদংমার উত্তর সিকিমের জনপ্রিয় ট্রিপ। চুংথাংয়ের উপর দিয়ে চলে গেলেও এখানে রাত কাটান খুব কম পর্যটক। তবে এই জায়গারও গুরুত্ব কম নয়।
উত্তর সিকিমের ছোট্ট গ্রাম চুংথাং। লাচেন ও লাচুং নদীর সঙ্গমে, ৫ হাজার ৮৭০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চুংথাং। কাছেই চিনের সীমান্ত থাকায়, এখানে মিলিটারি বেস ক্যাম্প আছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চুংথাংকে পবিত্র স্থান বলে মনে করে।
সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য খুলে গিয়েছে সিকিমের চুংথাংয়ের দরজা। ১ ডিসেম্বর লাচুং ও ইয়ুংথাং খুলে গিয়েছে। এবার চুংথাংও যেতে পারবেন উত্তর সিকিম ট্রিপে।
তিস্তা নদীর উপরে তৈরি টুং লগ ব্রিজ ও সংযোগকারী নতুন রাস্তা ধরে মঙ্গন থেকে যেতে পারবেন চুংথাং। তবে এই রাস্তা দিয়ে ফিরতে পারবেন না। চুংথাং ঘুরে ফিরতে হবে শিপংয়ার-সংকলন রুট ধরে। তবে, আপাতত লাচেন ও গুরুদংমার হ্রদ যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন
হাত দিয়ে মেঘ ছুঁতে ঘুরে আসুন পাহাড়ের রানি মুসৌরিতে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেশন কোনটি?
চলতি বছরের অক্টোবরে লোনাক হ্রদের উপর মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। সিকিমের চুংথাম বাঁধ ভেঙে যায়। উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তার জলে ভেসে যায়। সিকিমের পর্যটন মানচিত্র থেকে বহু গ্রাম হারিয়ে যায়।
গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গনের মতো জেলায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্রুত পুনরুদ্ধারের চেষ্টাও শুরু হয়। এমনকি অক্টোবরেই না থুলা, ছাঙ্গুর রাস্তা খুলে যায়। ১ ডিসেম্বর থেকে লাচুংও যেতে পারছেন পর্যটকরা। এবার চুংথাংও যেতে পারবেন।
সিকিমের মানুষদের কাছে চুংথাংয়ের ধর্মীয় গুরুত্ব আছে। পর্যটক হিসেবে আপনিও ঘুরে দেখতে পারেন চুংথাং। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধর্মীয় গুরুত্বের চেয়ে কিছু কম নয়। রয়েছে চুংথাং মনাস্ট্রি।
খুব বড় জায়গা না হলেও, এখান থেকে লাচুং, ইয়ামথাং ভ্যালি, লাচেন, জিরো পয়েন্ট, গুরুদংমার হ্রদ যাওয়া খুব সহজ। এই গ্রামের মধ্যে একটি ধানক্ষেত রয়েছে, যা ‘হিডেন ভ্যালি অব রাইস’ নামে পরিচিত। সেই ধানক্ষেত দেখার মতো সুন্দর। চুংথাংয়ের মানুষেরা মনে করেন, পদ্মসম্ভব এখানে ধান উৎপাদন করতেন।
গ্যাংটক থেকে ৯৫ কিলোমিটারের পথ চুংথাং। যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চুংথাং যাওয়ার সেরা সময়। এই সময় আবহাওয়া ভালো থাকে এবং চারদিক রডোডেনড্রন ফুলে ভরে ওঠে। তবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেও আপনি চুংথাং ঘুরে আসতে পারেন।
সূত্র: টিভি৯
জেএমএস/জেআইএম