ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

যে দেশে নেই কোনো জেলখানা, অপরাধীরা থাকে রাজার হালে!

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

এমনও দেশ আছে বিশ্বে যেখানে নেই কোনো অপরাধী। এমনকি সেদেশে নেই কোনো জেলখানাও। পৃথিবীর স্বর্গ হিসেবে পরিচিত দেশটি। আর সেই দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডস নামটির আক্ষরিক অর্থ হলো নিম্নভূমি। দেশটির জনসংখ্যা ১ কোটি সাড়ে ৭২ লাখ।

জানলে অবাক হবেন, উদারপন্থী দেশটিতে পতিতাবৃত্তি, গর্ভপাত ও যন্ত্রণাহীন স্বেচ্ছামৃত্যু আইনসম্মত কর্মকাণ্ড। ঠিক একইভাবে দেশটি অপরাধীদের জন্যও অনেক উদার।

আরও পড়ুন:
. লামাহাট্টা ভ্রমণে কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ আরও যা দেখে মুগ্ধ হবেন
. ইলিশের স্বাদ আর শীত পোহাতে ঘুরে আসুন মাওয়া ঘাট

ওই দেশের কর্তৃপক্ষ চান না তাদের জনগণ জেলখানায় বসে থাকুক। এতে নাকি অর্থনীতির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এ কারণেই নেদারল্যান্ডস তাদের কারাগার বন্ধ করে দেয়।

কয়েকটি কারাগার অবশ্য চালু আছে, তবে সেখানে অন্য দেশের বন্দীরা থাকেন। এই ধরনের অনুপ্রেরণামূলক কৃতিত্বের পেছনের মূল কারণ হলো, নিম্ন কারাভোগের হার একজন নাগরিককে অপরাধের দিক থেকে সরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

নেদারল্যান্ডস এমন একটি দেশ যেখানে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের উন্নত জীবনযাপনে সহায়তা করার জন্য তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৮ সালে নেদারল্যান্ডসে অপরাধের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে।

আরও পড়ুন:
. কুয়াকাটা ভ্রমণে যেসব স্পটে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না
.‘ডে লং ট্যুরে’ ঘুরে আসতে পারবেন দেশের যে কয়েকটি স্থানে

নেদারল্যান্ডস তার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে ইলেকট্রনিক ট্যাগিং ব্যবহার করে। এতে গোড়ালিতে আটকানো একটি যন্ত্র আছে। যা ব্যক্তির প্রতিটি কার্যকলাপ রেকর্ড করে। অনেক অপরাধীকে ডিভাইসটি তাদের শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর ফলে তারা স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটানোর সুযোগ পায়। এভাবে কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের সংস্কারের জন্য একটি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে নজরদারি করে। এছাড়া সেখানকার শিথিল আইন মাদক ব্যবহারের হারও কমাতে সাহায্য করেছে অতীতের তুলনায়।

নেদারল্যান্ডসে পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি স্থান। দেশটিও পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখেছে। টিউলিপের জন্য বিখ্যাত নেদারল্যান্ডস।

ফুলের মৌসুমে অর্থাৎ বছরের প্রথমদিকে দেশটিতে লাখ লাখ পর্যটক ভিড় জমান বাহারিরঙা টিউলিপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস