ফ্লাওয়ার লেকে ছুটছেন দর্শনার্থীরা
শহরের ব্যস্ততা আর ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন দর্শনীয় সআনে ছুটে যান সুযোগ পেলেই। তেমনই এক দর্শনীয় স্থান হলো সুনামগঞ্জ। শিমুল বাগান থেকে শুরু করে টাঙ্গুয়ার হাওয়ার এমনকি জমিদার বাড়িসহ আরও টুরিস্ট স্পট আছে সেখানে।
তেমনই একটি স্পট হলো ফ্লাওয়ার লেক। নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, সেটি এক ফুলের রাজ্য। সুনামগঞ্জে গড়ে ওঠা ফ্লাওয়ার লেকে ফুলের রাজ্যে বিচর পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায় প্রথমে দিন হয় জানেন কি?
সেখানে গিয়ে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলছেন। এতে এই বাগানকে ঘিরে আয়ের পথ তৈরি হয়েছে উদ্যোক্তাসহ ফটোগ্রাফারদের।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নে তিন একর পরিত্যক্ত জায়গা ভাড়া নিয়ে ফ্লাওয়ার লেক নামে ফুলের বাগান তৈরি করেন সাত উদ্যোক্তা। তার মধ্যে একজন কলেজ শিক্ষার্থী মো মিজান।
পড়ালেখার পাশাপাশি জমানো টাকা দিয়ে ৭ জন বন্ধু মিলে তৈরি করেন ফুলের বাগান। যে বাগানটিতে আছে পিটুনিয়া, সেলভিয়া, সেলুসিয়া, ডালিয়া, গেজিনিয়া, গাদা, কসমস, চন্দ্রমলিকাসহ মোট ২৫ ধরনের ফুল।
আরও পড়ুন: বিদেশ ভ্রমণে এ বছর অংশ নিতে পারেন ৮ উৎসবে
তিনি জানান, বেকার না থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি আয়ের উৎস হিসেবে এই নার্সারি গড়ে তুলেছেন। যা এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের মানুষের নজর কেড়েছে।
এদিকে এই বাগান তৈরি করতে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে প্রায় ২৫ ধরনের ফুলের চারা সিলেট থেকে আনতে ও এগুলোকে পরিচর্যা করতে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে উদ্যোক্তাদের।
একই সঙ্গে দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে ওয়াশরুম, ক্যান্টিন, লেকের ওপর বাঁশের সেতুসহ ছবি তোলার বিভিন্ন স্পটের ব্যবস্থা আছে। মাত্র ২০ টাকার টিকিট কেটে এই বাগান দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শীতের রাতে ক্যাম্পিং করতে যান বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত
দর্শনার্থীরা জানান, শহরের ক্লান্তি ভুলতে শীতকে অপেক্ষা করে ফ্লাওয়ার লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাচ্ছেন তারা। আর ফটোগ্রাফাররা বলছেন, এই বাগান ঘিরে ছবি তুলার মাধ্যমে তাদের আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।
এদিকে বাগান মালিক ও উদ্যোক্তা রুবেল আহমদ বলেন, ‘এখানে একটি লেক আছে। সেটি দেখে এখানে বাগান করার পরিকল্পনা মাথায় আসে। পরে আমরা সাতজন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার খরচ করে এখানে বাগান করেছি।’
আরও পড়ুন: সুসং দুর্গাপুর ভ্রমণে কী কী দেখবেন?
‘নাম দিয়েছি ফ্লাওয়ার লেক। প্রতিদিন এই লেক থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আয় হচ্ছে। আশা করছি, এই লেককে কেন্দ্র করে এই মৌসুমে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার বাণিজ্য হবে।’
কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ মোট ৭ উদ্যোক্তা মিলে গড়ে তুলেছেন এই ফ্লাওয়ার লেক। শহরের যানজট ও ইট পাথরের দেওয়াল থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে এই ফ্লাওয়ার লেকে এসে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
জেএমএস/এএসএম