ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

৮৬০ বছরেও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গাছটি

ভ্রমণ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রতিবছর শরতের শেষের দিকে, হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন ৮৬০ বছর বয়সী গাছের সৌন্দর্য দেখতে। গাছটির নাম জিঙ্কগো বিলোবা। এই গাছের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

বিশাল গাছটি উপর থেকে দেখতেও যেমন আকর্ষণীয় ঠিক এই গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েও যেন শান্তি মেলে পর্যটকদের। এই গাছ দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় করেন দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়াংসাংয়ের একটি গ্রাম বাংয়ে-রিতে।

আরও পড়ুন: একই দেশের অর্ধেক অংশে যখন দিন, বাকি অর্ধেকে রাত

গাছটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ, যা তার মুকুটের ন্যায় আকৃতির জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে প্রায় ১৭ মিটার পরিধি জুড়ে বিস্ত্যত গাছটির শাখা-প্রশাখা। প্রায় ৩২ মিটার (১০৪ ফুট) লম্বা এই গাছ।

যদিও এটি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে লম্বা জিঙ্কো গাছ নয়, তবে এর শাখাগুলো যেভাবে ছড়িয়ে আছে তা এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন গাছগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে। তাই তো দক্ষিণ কোরিয়ায় এই গাছ বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গাছের তকমা লাভ করেছে।

মজার বিষয় হলো, দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে সুন্দর এই গাছের জনপ্রিয়তা বেড়েছে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন। কোভিড-১৯ মহামারীর আগেও গ্রামটি নিরিবিলি ছিল, তবে বিগত বছরগুলোতে দর্শনার্থী তিনগুণ বেড়েছে গাছটি দেখার জন্য। তারপরে এ বছর চারগুণ হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১০ হাজার কেজি সোনায় তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রমোদতরীটি কার?

এমনটিই জানিয়েছেন বাঙ্গে-রি গ্রামের প্রধান চে বেওম-সিক। জানা যায়, দিনে গড়ে ৪ হাজার মানুষ গাছটি দেখতে ভিড় করেন সেখানে।

যদিও সেখানে কোনো রেস্তোরাঁ নেই, আবার সবচেয়ে কাছের দোকানটিও দেড় কিলোমিটার দূরে। শুধু গাছটির সৌন্দর্য দেখতেই মানুষ সেখানে ভিড় করেন।

শরতের শেষ দিকে এই গাছের হলদে পাতা ঝরে মাটিতে। ফলে গাছটির নিচে ও এর আশপাশ হলুদ হয়ে ওঠে। মনে হয়ে হলদে গালিচা বিছানো আছে। জিঙ্কগো গাছগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার বাইরেও খুব জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ।

সূত্র: ডেইলি মেইল/অডিটি সেন্ট্রাল

জেএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন